ইউরোপকে নেতৃত্ব দেবে পোল্যান্ড: পোলিশ প্রধানমন্ত্রী

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড তুস্কের নেতৃত্বে ওয়ারশ ইউরোপকে নেতৃত্ব দেবে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) এমন প্রতিশ্রুতিই দিয়েছে নব্য নিযুক্ত এ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশটি ইউরোপে তার নেতৃত্বের অবস্থান ফিরে পাবে এবং ন্যাটোর একটি শক্তিশালী অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে তার দেশ ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য পশ্চিমাদের পূর্ণ সংহতির দাবি জানাবে বলেও বলেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর প্রকাশ করেছে।

পোল্যান্ডের পার্লামেন্ট সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুস্ককে সমর্থন দিয়েছে, যা দেশটির আট বছরের জাতীয়তাবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে  ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সঙ্গে এর সম্পর্কের বরফ গলাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

রয়টার্স আরও জানিয়েছে, মঙ্গলবার আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি তুস্ক।

সোমবার সংসদে তার সরকারের পরিকল্পনা উপস্থাপন করার সময় তুস্ক বলেন, পোল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত মিত্র হবে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতা হিসাবে তার অবস্থান পুনরুদ্ধার করবে।

তিনি আরও বলেন, তবে পোল্যান্ডের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে ইইউ-এর এমন যেকোনও চুক্তির পরিবর্তনের বিরোধিতা করবেন তিনি।

তুস্কের ভাষায়, ‘আমাদের স্বার্থের পরিপন্থি চুক্তি পরিবর্তনের যেকোনও প্রচেষ্টা প্রশ্নাতীত… ইউরোপীয় ইউনিয়নের কেউই এ খেলায় আমাকে হারাতে পারবে না।’

চলতি সপ্তাহেই ব্রাসেলস থেকে ‘বিলিয়ন ইউরো ফিরিয়ে আনার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তুস্ক। আইনের শাসন নিয়ে বিরোধের কারণে পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তহবিল জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, ‘ব্রাসেলস থেকে ফেরার পর, আমি লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া এবং এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে তালিনে যাব। স্পষ্টতই যুদ্ধ, নিরাপদ সীমান্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে। আমাদের সঙ্গে একমত এমন দেশগুলোর সঙ্গে আমরা সহযোগিতা জোরদার করব।’

সংসদে চলমান ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে তার সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন তুস্ক। তিনি বলেছিলেন, ‘এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য আমরা মুক্ত বিশ্বের, পশ্চিমা বিশ্বের পূর্ণ সংহতির জোর দাবি জানাব।’

তুস্ক আরও বলেন, পোল্যান্ডের পূর্ব সীমান্ত নিরাপদ হবে এবং ইউক্রেনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সীমান্ত ক্রসিংয়ে ট্রাকচালকদের বিক্ষোভের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: অবরুদ্ধ ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে ১০০ লরি পারাপার