ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বৃহত্তম’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৬

ইউক্রেন দাবি করেছে, যুদ্ধ শুরুর পর শুক্রবার দেশটিতে বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলায় অন্তত ১৬ বেসামরিক নিহত ও আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হেনেছে বলে উল্লেখ করেছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

কিয়েভের সামরিক প্রশাসন বলেছে, একটি বিধ্বস্ত গুদামের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন দশজন। ডিনিপ্রো শহরে একটি প্রসূতি ওয়ার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ আহত হননি।

মিত্র দেশগুলো সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেভা বলেছেন, আজ লাখো ইউক্রেনীয়দের ঘুম ভেঙেছে বিকট বিস্ফোরণের শব্দে। আজকের ইউক্রেনের এই বিস্ফোরণের শব্দ যদি পুরো বিশ্বে শোনা যেত।

প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের এই পর্যায়ে এসে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সামরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া নিজের ভান্ডারে থাকা সব কিছু দিয়ে হামলা করছে। প্রায় ১১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। যদিও বেশিরভাগ ভূপাতিত করা সম্ভব হয়েছে।

বিমানবাহিনীর কমান্ডার মাইকোলা ওলেশ্চুক ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণের পর এটি বৃহত্তম বিমান হামলা।

সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, শিল্প ও সামরিক স্থাপনা।

ওডেসার দক্ষিণ, খারকিমের উত্তর-পূর্ব, ডিনিপ্রোপাত্রোভস্ক ও কিয়েভের মধ্যাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কথা জানিয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়।

কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেন সতর্ক করে বলে আসছে, রাশিয়া দেশটির জ্বালানি ব্যবস্থায় হামলার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করছে। গত বছর বিদ্যুৎ গ্রিডে রুশ হামলা লাখো মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন।