ইউক্রেনের শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে দাভোসে কূটনীতিকদের বৈঠক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে ইউক্রেনের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে এই বৈঠক শুরু হয়েছে। এতে ৮১টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে ভাষণ দেবেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে রবিবার শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

আলোচনায় জেলেনস্কির প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন তার চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাক। এতে অংশ নিচ্ছেন ইউক্রেনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি পেনি প্রিৎজকার এবং ইউরোপীয় ও ইউরেশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ও’ব্রায়েন।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের বছরে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সহযোগিতায় ভাটা পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় সোমবার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বক্তব্য রাখতে পারেন।

স্বাগতিক দেশ সুইজারল্যান্ড বলেছে, ইউক্রেনের শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্য হলো নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ে ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য নীতি চূড়ান্ত করা। গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে দেশটি বলেছে, এই নীতিগুলো হতে পারে পরবর্তী পর্যায়ের শান্তি প্রক্রিয়ার ভিত্তি।

ইউক্রেনীয় শান্তি পরিকল্পনার আলোচনায় দাভোসে গ্লোবাল সাউথ আলোচনায় উঠে এসেছে। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার কয়েকটি জোট নিরপেক্ষ দেশ এত দিন ইউক্রেন ইস্যুতে সাইডলাইনে ছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহে সুইস শহরে এমন কয়েকটি দেশ তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা ইয়ারমাক বলেছেন, এতে ১৮টি এশীয়, আফ্রিকার ১২টি এবং দক্ষিণ আমেরিকার ৬টি দেশ প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।

মিত্রদের দৃঢ় সমর্থন পাওয়া ইউক্রেন ধারাবাহিকভাবে বলে আসছে শান্তি স্থাপনের শর্ত হিসেবে রাশিয়াকে কোনও ভূখণ্ডগত ছাড় দেবে না তারা। রাশিয়ার দখলকৃত সব ভূখণ্ড ইউক্রেনকে ফিরিয়ে দিতে হবে। গ্লোবাল সাউথের দেশগুলো কিয়েভের শান্তি পরিকল্পনায় একমত হবে কি না তা স্পষ্ট নয়।