ইরাক ও সিরিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের পরিকল্পনা নেই: যুক্তরাষ্ট্র

ইরাক ও সিরিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে  যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (৬ জানুয়ারি) একটি সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেছেন পেন্টাগনের শীর্ষ মুখপাত্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এই খবর জানিয়েছে।

গত মাসে জর্ডানে মার্কিন বাহিনীর ওপর করা হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরাক ও সিরিয়ার একাধিক স্থানে প্রতিশোধমূলকভাবে পালটা বোমা হামলা পরিচালনা করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। তবে এই হামলা দীর্ঘমেয়াদী হবে না বলে নিশ্চিত করলো মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

সোমবার পেন্টাগনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিভাগটির শীর্ষ মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার। এসময় তিনি বলেছেন, ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের সামরিক বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট প্রক্সি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী অভিযানের পরিকল্পনা করছে না পেন্টাগন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এমন নয় যে, ঠিক আছে। খেলা শুরু। আসুন আমরা ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানী প্রক্সি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ করি।’

রাইডার আরও বলেন, ‘আমরা এমন করার জন্যই সেখানে রয়েছি বিষয়টি তা নয়। বরং আমরা সেখানে একটি অভিযান পরিচালনা এবং জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার জন্য রয়েছি।’

২৮ জানুয়ারি জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি ছোট ফাঁড়ি টাওয়ার ২২-এ হামলার ঘটনায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও ডজনখানেক সেনা।

এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গেলো শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ার সাতটি স্থানের ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।

প্রাথমিকভাবে হামলাগুলো ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস কুদস ফোর্স এবং তাদের মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত কমান্ড ও কন্ট্রোল হেডকোয়ার্টার, গোয়েন্দা সেন্টার, রকেট ও মিসাইল, ড্রোন ও গোলাবারুদ সংরক্ষণাগার, এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী বা আইআরজিসির কুদস ফোর্সের সঙ্গে সংযুক্ত সুবিধাগুলোতে করা হয়। ৩০ মিনিটের মধ্যে এসব হামলা পরিচালনা করে মার্কিন সামরিক বাহিনী।