ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কথা ভাবছে কয়েকটি পশ্চিমা দেশ: স্লোভাকিয়া

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো বলেছেন, বেশ কয়েকটি ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রবার্ট ফিকো দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনে সামরিক সরবরাহ পাঠানোর বিরোধিতা করছেন। তার অনেক সমালোচকের মতে, তিনি এমন অবস্থান নিয়েছেন যা রাশিয়ার স্বার্থের পক্ষে যায়। সেনা পাঠানোর বিবেচনার বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। এছাড়া এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অপর ইউরোপীয় নেতাদের কোনও মন্তব্য জানা যায়নি।

প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের একটি বৈঠকের আগে ফিকো এই মন্তব্য করেছেন। সোমবারের এই বৈঠকে তিনিও যোগদান করবেন।

স্লোভাকিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ফিকো বলেছেন, প্যারিসে বৈঠকের প্রস্তুতি এমন অবস্থা তৈরি করছে যাতে করে মনে হচ্ছে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে।

তিনি বলেছেন, কোনও উদ্দেশ্যে এবং সেনা সেখানে কী করবে, তা আমি বলতে পারছি না। ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হলেও স্লোভাকিয়া ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না।

কিয়েভকে শত কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে ন্যাটো দেশগুলো এবং তারা ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ন্যাটো নেতারা বলেছেন, পশ্চিমা সামরিক জোটটি রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাত এড়াতে চায়, এমন সংঘাত শুরু হলে তা বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। 

১৪ ফেব্রুয়ারি ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছিলেন, ন্যাটো কিংবা ন্যাটো মিত্ররা এই সংঘাতের কোনও পক্ষ নয়। 

ফিকোর মন্তব্য সম্পর্কে ন্যাটোর তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এই মন্তব্যের বিষয়ে চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রী পিটার ফিয়ালা বলেছেন, চেক রিপাবলিক নিশ্চিতভাবে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে না, কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

ফিকো বলেছেন, ইউক্রেন সংঘাতে বড় ধরনের তীব্রতা বৃদ্ধির ঝুঁকি দেখছেন তিনি। জনগণের সামনে খুব বেশি তথ্য হাজির করা যাচ্ছে না। 

ফ্রান্স জানিয়েছে, ফিকোসহ প্রায় ২০ জন ইউরোপীয় নেতা সোমবার প্যারিসে মিলিত হবেন। বৈঠক থেকে ইউক্রেনের প্রতি ইউরোপীয় সমর্থন অটুট থাকার বার্তা দেওয়া হবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। একই সঙ্গে তৃতীয় বছরে গড়ানো ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়া জয়ী হচ্ছে বলে ক্রেমলিন যে অবস্থান তুলে ধরছে, সেটির বিরুদ্ধেও বার্তা দেবেন ইউরোপীয় নেতারা।