ইউক্রেনে ইউরোপীয় সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি ম্যাক্রোঁ

ইউক্রেনে ইউরোপীয় দেশগুলোর সেনা পাঠানোর দ্বার উন্মুক্ত রেখেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তবে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তিনি সতর্ক বলে বলেছেন, এই পর্যায়ে এই বিষয়ে কোনও ঐকমত্য হয়নি। মিত্ররা কিয়েভে আরও গোলাবারুদ সরবরাহে সম্মত হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সোমবার ইউরোপের প্রায় ২০টি দেশের নেতারা প্যারিসে জড়ো হয়েছিলেন। এই বৈঠক থেকে ইউক্রেনের প্রতি ইউরোপের দৃঢ় সমর্থনের বার্তা দেওয়া হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে।

বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ম্যাক্রোঁ বলেছেন, এই পর্যায়ে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে কোনও ঐকমত্য হয়নি। কোনও কিছুই বাদ দেওয়া যায় না। রাশিয়া যাতে যুদ্ধে জয়ী না হয় সেজন্য আমরা সব কিছু করব।

হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন সেনাদের পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রে। এছাড়া ইউক্রেনে ন্যাটো সেনাদের পাঠানোরও কোনও পরিকল্পনা নেই। 

এর আগে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো বিস্তারিত না জানিয়ে বলেছিলেন, বেশ কয়েকটি ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে।

তবে নেদারল্যান্ডযসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সোমবারের আলোচনায় ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি।

রাশিয়াকে একমাত্র আগ্রাসী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে ম্যাক্রোঁ বলেন, রাশিয়ার পরাজয় ইউরোপের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন তৃতীয় বছরে প্রবেশ করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হতে পারে এমন কোনও লক্ষণ নেই। বরং সেখানে রাশিয়া তার অভিযান আরও জোরদার করেছে। গোলাবারুদ ও অস্ত্রের ঘাটতিতে থাকা ইউক্রেনের বেশ কিছু অঞ্চলের দখল নিয়েছে রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র সহায়তা চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি।