ডানপন্থিদের নেতৃত্বে জোট সরকারের পথে পর্তুগাল

পর্তুগালের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করেছে, মধ্য-ডানপন্থি ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এডি) পার্টি। তবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না করায় ক্ষমতায় বসতে, চরম ডানপন্থী দল চেগার সঙ্গে জোট গঠন করতে হবে বলে জানিয়েছেন এডি নেতা লুইস মন্টেনিগ্রো। সোমবার (১১ মার্চ) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এর আগে সরকার গঠনে, সরকারবিরোধী দল হিসেবে পরিচিত চেগা নেতা আঁন্দ্রে ভেনচুরার সঙ্গে আলোচনা করতে অস্বীকার করেছিলেন মন্টেনিগ্রো।

এছাড়া মন্টিনিগ্রোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থী সোশ্যালিস্ট পার্টি (পিএস) নেতা পেদ্রো নুনো সান্তোস এডিকে সমর্থনের বিষয়টি নাকচ করে দেন। ফল ঘোষণার পর তিনি জানান, তার দল বিরোধী দল হিসেবে পার্লামেন্টে থাকবে।

রবিবারের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ২০ লাখ পতুর্গীজ। পার্লামেন্টের ২৩০ আসনের মধ্যে ৪৮ টি আসন লাভ করে চেগা। এদিকে, ইনসুলার মাদেইরা অঞ্চলে এডি ও এর রক্ষণশীল মিত্ররা ৭৯ আসন পায়। পিএস পায় ৭৭টি আসন। পাঁচ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত চেগা দলটি ২০১৯ সালে প্রথম আসন লাভ করে।

এদিকে, চেগা নেতা আন্দ্রে ভেনচুরা বলেন, রবিবার ভোটে এটাই স্পষ্ট হয় যে, পর্তুগিজরা এডি ও চেগা জোটকে সরকার হিসেবে দেখতে চায়। এর আগে তিনি বলেছিলেন,  মন্টিনিগ্রো যদি আলোচনায় অস্বীকৃতি অব্যাহত রাখেন তবে দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী হবেন।

এ নির্বাচনের মাধ্যমে আট বছরের সমাজতান্ত্রিক শাসনের পর, ডান-পন্থিরা সংকীর্ণ বিজয়ের সুযোগ পেল। তবে বিদেশি ভোটারদের ভোট গণনার পর চারটি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তাই এখনও চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি। 

নভেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগে সমাজতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা পদত্যাগ করার পর, আগাম এই নির্বাচনের আহ্বান জানানো হয়। কস্তা নিজে কোনও অপরাধে অভিযুক্ত না হলেও তিনি আর নির্বাচনে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। ৫০ বছর আগে, ফ্যাসিবাদী একনায়কত্বের পতনের পর, গণতন্ত্রে ফিরেছিল ইউরোপের এই দেশটি।