২০২২ সালে বিশ্বে শিশুমৃত্যুর হার সর্বনিম্নে: জাতিসংঘ

আগের তুলনায় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার অনেকটাই কমে এসেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ইন্টার-এজেন্সি গ্রুপ ফর চাইল্ড মর্ট্যালিটি এস্টিমেশন (ইউএনআইজিএমই)। সংস্থাটি বলছে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে কম। বুধবার (১৩ মার্চ) এই তথ্য প্রকাশ করে ইউএনআইজিএমই জানায়, এই বছরে (২০২২) বিশ্বব্যাপী শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ৪৯ লাখে নেমে এসেছে। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এই খবর জানিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, ‘শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনও প্রতিবছর লাখ লাখ পরিবার শিশু হারানোর যন্ত্রণা ভোগ করে। আর এর অধিকাংশই ঘটে শিশুর জন্মের প্রথম দিনগুলোতে।’

আগের তুলনায় শিশুমৃত্যুর হার কতটা কমেছে, তার পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০০ সালের তুলনায় এই সময়ে বিশ্বব্যাপী ৫ বছরের কমবয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার ৫১ শতাংশ কমেছে।

ইউএনআইজিএমই বলছে, বিশেষ করে বিশ্বের বেশ কিছু নিম্ন এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে শিশুমৃত্যুর হার বেশ কমেছে। এরমধ্যে কম্বোডিয়া, মালাউই, মঙ্গোলিয়া এবং রুয়ান্ডার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০০০ সালের তুলনায় এই দেশগুলোতে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ৭৫ ভাগের মতো।

এর পেছনে ধাত্রী এবং দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বিশ্বে ৫ বছর বয়সের আগে মারা যাওয়া ৪৯ লাখ শিশুর প্রায় অর্ধেকই ছিল নবজাতক। এছাড়াও এই সময়ে ৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী শিশু ও তরুণ মারা গেছে আরও ২১ লাখ। 

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই মর্মান্তিক জীবনের ক্ষতি প্রাথমিকভাবে প্রতিরোধযোগ্য বা চিকিৎসাযোগ্য। কেননা, অকাল জন্ম, জন্মের সময় জটিলতা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া এবং ম্যালেরিয়া মতো প্রতিরোধ্যযোগ্য কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

উচ্চমানের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করা গেলে আরও অনেক জীবন বাঁচানো যেতো বলেও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।