হিজবুল্লাহর সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত উত্তর ইসরায়েলের বাসিন্দারা?

৩০ বছর বয়সে একজন ইসরায়েলি সৈনিক ছিলেন এলি হারেল। ২০০৬ সালে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লড়াই করতে লেবাননে পাঠানো হয় তাকে। এখন তার বয়স ৫০ বছর। এই বয়সেও তিনি একই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলছিলেন, ইসরায়েলের উত্তর সীমান্ত যদি একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয় তবে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী আঞ্চলিক প্রক্সি গোষ্ঠীটির সঙ্গে লড়তে আবারও সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চান। তবে ইসরায়েলি বাহিনী এবার কল্পনাতীতভাবে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং যুদ্ধ পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে মনে করছেন হারেল।

রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘সবখানে ফাঁদ পাতা রয়েছে। মানুষ টানেল থেকে উঠে আসছে। আপনাকে সদা সতর্ক থাকতে হবে। নইলে আপনি মারা যাবেন।’

ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফাতে বাস করেন হারেল। শহরটি হিজবুল্লাহর অস্ত্রসীমার মধ্যে রয়েছে। সেখানে সম্প্রতি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি দেখা দেওয়ায় বাসিন্দাদের খাদ্য ও ওষুধ মজুত করার আহ্বান জানিয়েছেন হাইফার মেয়র।

ছয় মাস ধরে প্রতিদিনই আন্তসীমান্ত হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। তাদের পাল্টাপাল্টি আক্রমণের ক্রমবর্ধমান এই পরিসর একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের ভয়কে বাড়িয়ে দিচ্ছে।

২০০৬ সাল থেকে একটি শক্তিশালী অস্ত্রাগার সংগ্রহে রেখেছে হিজবুল্লাহ।

গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধরত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মতো হিজবুল্লাহর চারপাশেও যোদ্ধা এবং অস্ত্র সরানোর জন্য একটি সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক রয়েছে। এর যোদ্ধারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীর সঙ্গে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত উত্তর ইসরায়েলের একটি অংশে আক্রমণ সীমাবদ্ধ রেখেছে হিজবুল্লাহ।

ইসরায়েল বলেছে, তারা হিজবুল্লাহকে সীমান্ত থেকে হটিয়ে দিতে প্রস্তুত। তবে সেটি কীভাবে করা হবে তা স্পষ্ট নয়।