মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হামলা থেকে আত্মরক্ষার সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র আরও অস্ত্র পাঠাবে। তবে এসব অস্ত্রের বেশিরভাগই হবে প্রতিরক্ষামূলক। সোমবার (৭ জুলাই) হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে নৈশভোজের শুরুতেই সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে নৈশভোজের শুরুতে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আরও কিছু অস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছি। আমাদের সেটা করতেই হবে। তাদের আত্মরক্ষার সক্ষমতা থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের এখন খুব কঠিনভাবে আঘাত করা হচ্ছে। আমাদের আরও অস্ত্র পাঠাতে হবে — প্রধানত প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র।’
এরপর এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে ইউক্রেনকে অতিরিক্ত প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠানো হবে যাতে তারা নিজেদের রক্ষা করতে পারে। একইসঙ্গে একটি টেকসই শান্তি অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
পেন্টাগন জানায়, বিশ্বব্যাপী সামরিক সরবরাহের ওপর পর্যালোচনা চালানোর যে উদ্যোগ তা এখনও চালু রয়েছে।
ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কিয়েভে কিছু অস্ত্রের চালান সাময়িকভাবে স্থগিত করাযর পর ইউক্রেন হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে, এতে রাশিয়ার বিমান হামলা ও ময়দানে অগ্রগতি ঠেকানোর তাদের সক্ষমতা ব্যাহত হবে। এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন ডেমোক্র্যাট ও ট্রাম্পের নিজের কিছু রিপাবলিকান সহকর্মীরাও।
শুক্রবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইউক্রেনের আত্মরক্ষার জন্য প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োজন হবে। তবে সোমবার তিনি আর এই ক্ষেপণাস্ত্রের কথা উল্লেখ করেননি। পেন্টাগনের বিবৃতিতেও ইউক্রেনের জন্য কী ধরনের অস্ত্র পাঠানো হবে সে বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, তারা ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষার সক্ষমতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। কারণ রাশিয়ার হামলা আরও তীব্র হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, উভয় নেতা যৌথ প্রতিরক্ষা, অস্ত্র ক্রয় এবং বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরও প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির অনুরোধ জানিয়ে আসছে। কারণ এই অস্ত্রগুলো তাদের শহরগুলোকে রাশিয়ার তীব্র বিমান হামলা থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কিয়েভ।
এদিকে জার্মানি জানিয়েছে, ইউক্রেনের জন্য প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনা নিয়ে তারা আলোচনা করছে, যাতে এই ঘাটতি পূরণ করা যায়।