রাজনৈতিক আশ্রয় আইন পরিবর্তন করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

দীর্ঘ প্রতীক্ষিত  ইউরোপীয়ান রাজনৈতিক আশ্রয় আইনের প্রস্তাব উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। গত বছর ১.১ মিলিয়ন শরণার্থী ইউরোপে প্রবেশের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ আইনটি পরিবর্তনে জোর দিয়ে আসছিল। ইইউ কর্তৃপক্ষ বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে পরিবর্তিত আইনের প্রস্তাব উত্থাপন করবেন।

noname

বর্তমানে যে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আইন রয়েছে তা ডাবলিন রেগুলেশন হিসেবে পরিচিত। ১৯৯০ সাল থেকে এ আইন কার্যকর আছে। রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থী শরণার্থীদের এই আইনের শর্তাবলী পূরণ করতে হয়।

পরিবর্তিত আইনটি গত কয়েক বছর ধরে আটকে ছিল। গত বছরের আগস্টে জার্মান চ্যান্সেল অ্যাঞ্জেলো মের্কেল প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, সিরিয়ার সব শরণার্থী জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার দাবি করতে পারবেন।

বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের প্রকাশ করা একটি পলিসি পেপারের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, বর্তমান শরণার্থী ও অভিবাসী সংকটে মূলে রয়েছে ইউরোপীয় রাজনৈতিক আশ্রয় ও অভিবাসন নীতির দুর্বলতা ও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে না পারা।

তবে যুক্তরাজ্য ডাবলিন রেগুলেশন বাস্তবায়নে সাফল্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে।

ইউরোপীয়ান কমিশন দুটি প্রস্তাব উত্থাপন করবে। প্রস্তাবিত আইনটি পাস হতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র ও ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে অনুমোদিত হতে হবে।

প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ডাবলিন রেগুলেশনের অনেক কিছু বাদ দেওয়া হবে এবং রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সামর্থ্য ও সম্পদের ওপর ভিত্তি করে ভাগ করে দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ডাবলিন রেগুলেশনকে বহাল রাখা হবে। তবে তাতে যুক্ত করা হবে শরণার্থীদের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে যাতে প্রবেশ পথের কাছাকাছি থাকা দেশগুলো সংকটে না পড়ে। দ্বিতীয় প্রস্তাবটির সঙ্গে সর্বশেষ ইইউ’র চুক্তির সামঞ্জস্য রয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

/এএ/