করোনা সংকটে উদ্বিগ্ন জার্মান মন্ত্রীর আত্মহত্যা

করোনাভাইরাসে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় গভীর উদ্বেগে থাকা জার্মানির একটি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার হেসে রাজ্যের প্রধান ভলকার বৌফিয়ের এ কথা জানিয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।

a3ccc0eda5f14004ad2600b7ffed0996_18
থমাস শেফার নামের ৫৪ বছরের অর্থমন্ত্রীর মরদেহ শনিবার একটি রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। ওয়াইজবাডেন প্রসিকিউশন কার্যালয় জানিয়েছে, তারা মনে করেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং মাইনজের মধ্যবর্তী হোচাইম শহরে হাইস্পিড ট্রেন লাইনের উপর থেকে শেফারের ছিন্নভিন্ন দেহটি উদ্ধার হয়। প্যারামেডিকসের একটি দলই তার দেহটি উদ্ধার করেন। গোটা দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় প্রথমে তাকে শনাক্ত করা যায়নি।
রেকর্ড করা এক বিবৃতিতে বৌফিয়ের বলেন, আমরা এখনও হতভম্ব। আমরা একেবারে বিশ্বাস করতে পারছি না এবং সর্বোপরি আমরা শোকাহত।
পুলিশ ও প্রসিকিউটর জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের নিজেদের ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে শোফার আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
হেসে রাজ্যে জার্মানির বাণিজ্যিক রাজধানী ফ্রাঙ্কফুর্ট অন্তর্ভুক্ত। এখানে দেশটির কয়েকটি বড় ব্যাংকের সদরদফতর অবস্থিত।
প্রায় দশ বছর ধরে বৌফিয়ের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শোফার। তিনি জানান, আত্মহত্যাকারী মন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করছিলেন মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় কোম্পানি ও শ্রমিকদের সহযোগিতার জন্য।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের ঘনিষ্ঠ বৌফিয়ের বলেন, আজ আমাদের বলতে হচ্ছে তিনি গভীর উদ্বেগে ছিলেন। এই দুর্যোগপূর্ণ কঠিন সময়ে তার মতো একজন মানুষের আমাদের প্রয়োজন ছিল।
জনপ্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন শোফারকে দীর্ঘদিন ধরে বৌফিয়ের উত্তরসূরী ভাবা হচ্ছিল। বৌফিয়ের মতোই তিনিও ম্যার্কেলের মধ্য ডানপন্থী সিডিইউ পার্টির সদস্য। তার এক স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।