অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় রক্ত জমাট বাঁধার কারণ জানার দাবি গবেষকদের

ব্রিটিশ-সুইডশ প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার কারণ এবং তার প্রতিকার জানতে পারার দাবি করেছেন এক দল গবেষক। শুক্রবার জার্মানির উত্তরাঞ্চলের গ্রাইফজভালড টিচিং হসপিটালের গবেষকরা এই দাবি করেছেন। তাদের দাবি প্রচলিত ওষুধ প্রয়োগ করে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি ইউরোপের কয়েকটি দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নিয়ে রক্ত জমাট বাঁধার অভিযোগ ওঠার পর আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দেয়। ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানিসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে। পরে ইউরোপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি (ইএমএ) জানায়, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর। এরপরই বেশ কয়েকটি দেশ ওই টিকাদান আবারও শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।

গ্রাইফজভালড টিচিং হসপিটালের গবেষকরা বলছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার পর কিছু মানুষের দেহে বিরলভাবে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার কারণ খুঁজে পেয়েছেন তারা। টিকা নেওয়ার পর  সামান্য সংখ্যক মানুষের মস্তিষ্কের শিরায় রক্ত জমাট বাধার বিরল এই ঘটনাটি ঘটে। গবেষকরা বলছেন খুবই সাধারণভাবে ব্যবহার করা ওষুধ ব্যবহার করে এই রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।

গ্রাইফজভালড হাসপাতালের এক নার্স অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে মারা যাওয়ার পরে এর কারণ অনুসন্ধানে নামে গবেষকরা। আঞ্চলিক স্বাস্থ্য সেবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা পল এরলিশ ইনস্টিটিউট (পিইআই) এবং অস্ট্রিয়ার চিকিৎসকদের যৌথ গবেষণায় এর কারণ ও প্রতিকার খুঁজে পাওয়ার সাফল্য পাওয়া যায়।

গবেষকরা জানিয়েছেন, যেসব রোগীদের রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার প্রমাণ মিলবে কেবল তাদেরই চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আগে থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও উপায় এই মুহূর্তে নেই।

তবে যে রোগীদের ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার প্রমাণ মিলবে, শুধু তাদেরকেই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ এ মুহূর্তে নেই। গবেষণায় পাওয়া এসব তথ্য ইতোমধ্যে ইউরোপের হাসপাতালগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।