ভুয়া টিকা সনদ ইস্যুতে স্ত্রী ও ৩ সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা: জার্মান প্রসিকিউটর

জার্মানিতে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করা ব্যক্তি স্ত্রীকে একটি ভুয়া টিকা গ্রহণের সনদ সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন। ওই দম্পতির আশঙ্কা ছিল এই জালিয়াতি ধরা পড়লে তাদের গ্রেফতার ও সন্তানদের কেড়ে নেওয়া হবে। এই আশঙ্কা থেকেই স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হত্যার পর নিজেই আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার এক জার্মান প্রসিকিউটর এসব তথ্য জানিয়েছেন।

শনিবার বার্লিনের দক্ষিণে কোয়েনিগস ওয়াস্টারহাউসেন এলাকায় একটি বাড়িতে পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করে জার্মান পুলিশ। নিহতদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক দুজনের বয়স ৪০ বছর এবং তিন শিশুর বয়স ৪, ৮ ও ১০ বছর। গুলিবিদ্ধ হয়ে তাদের সবার মৃত্যু হয়।

প্রসিকিউটর গার্নট বান্টলিওন ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, পুলিশের পাওয়া একটি সুইসাইড নোটে ওই ব্যক্তি উল্লেখ করেছেন তিনি স্ত্রীর জন্য একটি ভুয়া টিকার সনদ বানিয়েছেন। স্ত্রীর নিয়োগকর্তা তা বুজে গেছেন। এর ফলে ওই দম্পতি গ্রেফতার ও সন্তান হারানোর আশঙ্কায় ছিলেন।

শনিবার পুলিশ ও প্রসিকিউটর জানায়, এক ব্যক্তি বাড়িতে নিথর দেহগুলো পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানান।  

এই মর্মান্তিক ঘটনা এমন সময় ঘটলো যখন জার্মানি করোনাভাইরাস মহামারির চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলায় বিধিনিষেধ কঠোর করছে। গত মাস থেকে কর্মীদের টিকা নেওয়ার সনদ, সুস্থ হওয়ার অথবা করোনার পরীক্ষার নেগেটিভ ফল বাধ্যতামূলক করেছে।

গত সপ্তাহে জার্মান কর্তৃপক্ষ টিকা না নেওয়া মানুষদের একান্ত প্রয়োজনীয় মুদির দোকান, ফার্মেসি ও বেকারি ছাড়া সবকিছুতে প্রবেশগম্যতা নিষিদ্ধ করতে সম্মত হয়। কিছু কিছু কাজের জন্য টিকা নেওয়াকে বাধ্যতামূলক করারও পরিকল্পনা করছে দেশটি। সূত্র: রয়টার্স