বাংলাদেশ থেকে মুক্তি পাওয়া দাউদ মার্চেন্ট মুম্বাই পুলিশের হেফাজতে

আব্দুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টভারতের অপরাধ জগতের অন্যতম ডন দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী ও বলিউডের চলচচ্চিত্র প্রযোজক গুলশান কুমার হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্ট এখন মুম্বাই পুলিশের হেফাজতে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুসারে, বুধবার রাতে মেঘালয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাউদ মার্চেন্টকে প্রত্যর্পণ করা হয়। এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী উপস্থিত ছিল। এরপর তাকে সড়ক পথে গুয়াহাটিতে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করার মুম্বাই পুলিশের কাছে হাস্তান্তর করা হয়। ২০০৯ সালে প্যারোল ভঙ্গ করে দেশ ছেড়ে পালানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মুম্বাই পুলিশ একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রআইন ভঙ্গ, হত্যার চেষ্টা ও হামলাসহ ১০টি মামলা রয়েছে।

মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন,  ‘কয়েকদিন আগের আমাদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের চার সদস্যের একটি দল পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছায়। বাংলাদেশ সরকার দাউদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে অবহিত করার পরই তারা সেখানে যায়। উভয় দেশের ইন্টারপোলের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ছিলো। বিষয়টির স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় নিয়ে হস্তান্তরের তারিখ গোপন রাখা হয়েছিল।’

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কয়েক বছর আগে দুবাইয়ে দাউদ ইব্রাহিমের সাক্ষাত করেছেন দাউদ মার্চেন্ট। তার কাছ থেকে অপরাধ চক্রটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

১৯৯৭ সালে গুলশান কুমারের হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয় দাউদ মার্চেন্টকে। ২০০২ সালে হত্যামামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয় তার। ২০০৯ সালে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যান তিনি।

২০০৯ সালের ২৭ মে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়ছিল। ওই মামলায় তার ৫ বছরের সাজা হয়। ২০১৪ সালের নভেম্বরে তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর ১ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার পরই তাকে জেলগেট থেকে আবার ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়। ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের কেরাণীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন দাউদ মার্চেন্ট।

ওই দিন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসান বলেছিলেন,  ‘তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা ছিল। এ মামলায় তার সাজার মেয়াদও শেষ হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি কোথায় গেছেন তা আমাদের জানা নেই।’ সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

/এএ/