পুলিশ ও রেল কর্মকর্তারা জানান, ট্রেনটি ইনদোর থেকে পটনা যাচ্ছিল। রবিবার ভোর সোয়া ৩টার দিকে মালাসার ও পুখরাইয়া স্টেশনের মাঝে ট্রেনটির ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার সময় বেশিরভাগ যাত্রী ঘুমাচ্ছিলেন। একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
ভারতের উত্তর-মধ্য রেলের মুখপাত্র বিজয় কুমার বলেন, ‘একটি মেডিক্যাল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। অন্য যাত্রীদের যাতে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো যায় তার জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হযেছে।’
বিজয় কুমার আরও জানান, ট্রেনের এস-২ কামরাটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কার জানিয়েছেন তিনি।
জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা দলজিৎ সিং চৌধুরি জানান, গ্যাস কাটারসহ ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে ট্রেনের ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর ভারতের রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মোদি। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব টুইটে নিকটবর্তী রাজ্যকে উদ্ধার কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছে, এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার ও অল্প আহতদের ২৫ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের জন্য ২ লাখ, গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীও ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন। রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে সাড়ে তিন লাখ ও গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়া হবে।
আহতদের দ্রুত কাছের হাসপাতালগুলোতে নিয়ে যাওয়ার জন্য সড়কে গ্রিন করিডোর গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া চালু করা হয়েছে জরুরি হেল্প লাইন নম্বর।উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন প্রায় আড়াইশো জওয়ান। এই রুটের সবগুলো ট্রেনকে বিকল্প পথে চলার নির্দেশ দিয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
/এএ/