‘ভারতীয় সেনাদের শক্তিশালী উপস্থিতির কারণে হার মেনেছে চীন’

সীমান্তে নিয়ে চীন ও ভারতের মুখোমুখি অবস্থান ও সংকট সমাধানের পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করছে, চীনা বাহিনীকে মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাদের শক্তিশালী উপস্থিতির কারণেই হার মেনেছে চীন। ভারতের দৃঢ় অবস্থানের কারণেই চীন সমঝোতায় এসেছে। তবে চীন দাবি করেছে, আবহাওয়াগত কারণেই তারা সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে।

sikkim-sector-file-shot-ndtv_650x400_81501930444

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সিকিমে চীনের চেয়ে ভারতীয় সেনাদের দ্রুত ও তাড়াতাড়ি পৌঁছানোর সুযোগ ছিল।  তবে মঙ্গলবার ডোকলাম প্ল্যাতো থেকে সেনা সরিয়ে নেয় দুই দেশ। এই স্থানটি নিয়ে চীন ও ভুটানের বিরোধ চলে আসছে।

দীর্ঘদিন পর ডোকলাম সীমান্তে চীনের সড়ক নির্মাণ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। সীমান্তের ওই অংশটি ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র ভুটান নিজের বলে দাবি করে। ভুটানের দাবির পক্ষে চীনা সেনাদের মুখোমুখি অবস্থান নেয় ভারত। গত ১৬ জুন থেকে ডোকলাম সীমান্তে মুখোমুখি ছিল দুই দেশের সেনাবাহিনী। অন্তত ৩০০ সেনাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল বিতর্কিত ওই সীমান্তে। বারবার যুদ্ধের হুমকিও দিতে শুরু করেছিল চীন। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার সরে আসে দুই দেশ।

চীন প্রতিদিনই ভারতকে সামরিক আগ্রাসনের হুমকি দিয়েছে। সীমান্ত বিরোধী নিয়ে ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধও হয়েছিল।

উত্তেজনার প্রধান কারণ ছিল,  ডোকলামে একটি রাস্তা তৈরি করতে চায় চীন। কিন্তু অঞ্চলটি ভুটান ও চীনের মধ্যকার একটি বিরোধপূর্ণ এলাকা। এলাকাটির মালিকানা দাবি করে আসছে  চীন ও ভুটান উভয় দেশই। এক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান ভুটানের পক্ষে। ভারত মনে করে, চীন যদি এ রাস্তাটি তৈরি করে তাহলে কৌশলগতভাবে তারা পিছিয়ে পড়বে। এ রাস্তাটির মাধ্যমে চীন এমন একটি জায়গায় পৌঁছে যাবে যেটি ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, তারা হার মানতে রাজি ছিল না। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফিট উপরে ডোকলামে কৌশলগত দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল ভারতীয় সেনা। সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তাদের দাবি, এর ফলেই কূটনৈতিক সমাধানে যেতে বাধ্য হয়েছে চীন।

চীন এই রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে কিনা জানতে চাইলে সরকারের এক মুখপাত্র জানান, ‘আমরা আবহাওয়াসহ অন্যান্য বিষয়গুলো খতিয়ে দেখব। নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয় মাথায় রাখব আমরা।’  তিনি জানান, চীনা সৈন্যরা ওই স্থানে তাদের টহল অব্যাহত রেখেছেন।