বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও চীন সীমান্তে ১৫ ব্যাটালিয়ন সেনা বাড়াবে ভারত

ভারত সরকার দেশটির গুরুত্বপূর্ণ দুটি সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জন্য আরও নতুন ১৫টি ব্যাটালিয়ন গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে। এই দুটি বাহিনী হচ্ছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ও ইন্দো-তিব্বতীয় বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি)। বিএসএফ ও আইটিবিপি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সুরক্ষায় দায়িত্ব পালন করে।

সীমান্তে বিএসএফ সদস্যরা।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই এ খবর জানিয়েছে। তিনি জানান, বিএসএফ’র ছয়টি ও আইটিবিপির নয়টি নতুন ব্যাটালিয়ন গড়ে তোলার কথা সরকার গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে।

প্রতিটি ব্যাটালিয়নে সক্রিয় ১ হাজার জওয়ান ও কর্মকর্তা থাকেন। এই হিসেবে ১৫ ব্যাটালিয়ন তৈরি হলে নতুন ১৫ হাজার সেনা দুই বাহিনীতে যুক্ত হবেন।

সূত্র জানায়, নতুন ইউনিট গড়ে তোলার মাধ্যমে মানবশক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বিএসএফ। এসব নতুন ইউনিট আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে ইন্দো-বাংলা সীমান্তে মোতায়েন করা হবে। একইভাবে ভবিষ্যতে তা পাঞ্জাব ও জম্মু অঞ্চলে ইন্দো-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে মোতায়েন করা হবে।

বিএসএফ’র এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, নতুন ব্যাটালিয়ন মোতায়েনের স্থান এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তের কিছু এলাকা অগ্রাধিকার পাবে। সীমান্তের এসব এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ, মাদকপাচার, মানবপাচার ও অবৈধ অভিবাসন ঘটছে।

একইভাবে আইটিবিপিও আন্তঃফাঁড়ির দূরত্ব কমাতে চাইছে। এই বাহিনী ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বরফ ঢাকা সীমান্ত সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত।

এক সিনিয়র আইটিবিপি কর্মকর্তা বলেন, মূলত নতুন ১২টি ব্যাটালিয়নের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বাহিনীর অদূর ভবিষ্যতে ৯টি ব্যাটালিয়ন প্রয়োজন।

বিএসএফ ভারতের বৃহত্তম সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এই বাহিনীর মোট সদস্য প্রায় আড়াই লাখ। আইটিবিপির সদস্য সংখ্যা ৯০ হাজার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেপাল ও ভুটান সীমান্তের জন্য এসএসবি নামে তৃতীয় আরেকটি বাহিনী রয়েছে ভারতের। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।