উত্তর প্রদেশে মুখোমুখি বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টি

উত্তর প্রদেশের দুটি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই দুটি আসনই নির্বাচনি প্রচারণায় সরগরম ছিল। আসন দুটির সাবেক সদস্যদের কারণে আসন দুটির ফলাফল জানতে উৎসুক সবাই। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর ছেড়ে দেওয়া আসন গোরাখপুর ও ফুলপুরে ভোটগ্রহণ আজ ভোট গণনা হওয়ার কথা। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা আদিত্যনাথ ও উপমুখ্যমন্ত্রী কেশাভ প্রাসাদ মৌরিয়া গত বছরের বিধানসভা নির্বাচনে জিতেলে ওই আসন দুটি খালি হয়ে গিয়েছিল। টাইমস অফ ইন্ডিয়া তাদের এক প্রতিবেদনে ওই আসন দুটির ভোট-সমীকরণের চিত্র তুলে ধরেছে।

bjpsp

উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল গত শনিবার। গোরাখপুরে ৪৮ শতাংশ ভোট পড়লেও ফুলপুরে মাত্র ৩৮ শতাংশ ভটর উপস্থিত হয়েছিলেন। গোরাখপুরে বিজেপির  প্রার্থী ছিলেন কৌশেলেন্দ্র সিং প্যাটেল এবং ফুলপুরে উপেন্দ্র দত্ত শুকলা। সমাজবাদী পার্টি থেকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী যথাক্রমে প্রবীণ নিষাদ এবং নগেন্দ্র প্রতাপ সিং প্যাটেল। অন্যদিকে কংগ্রেস গোরাখপুরে মনোনয়ন দিয়েছিল সুরিথা করিমকে এবং ফুলপুরে মনিষ মিশ্রকে।

ত্রিমুখী এই লড়াইয়ে ফলাফল জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছে সবাই। কারণ মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন বহুজন সমাজবাদী পার্টি বিজেপিকে ঠেকাতে এই নির্বাচনে মুলায়াম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন দিয়েছে। সমাজবাদী ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির এই প্রচেষ্টা যদি সফল হয় তাহলে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিতব্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তারা আবারও জোট বাঁধবে।  গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির দুটিই লজ্জ্বাজনকভাবে হেরেছিল।

ফুলপুর একসময় কংগ্রেসের আসন ছিল যেখান থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। ২০১৪ সালে ওই আসনে লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়ের প্রভাবে বিজয়ী হন মৌরিয়া। বিজেপির জন্য ফুলপুর আসনে জয় নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মৌরিয়া ও ওই আসন থেকে জিতেই উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। বহুজন সমাজবাদী পার্টি ও সমাজবাদী পার্টির এই সমঝোতায় কিছুটা হলেও চিন্তিত ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। কারণ ওই দুই দলের সমঝোতায় এসপির যে শক্তিশালী ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে তাতে বেশিরভাগ মুসলমান ও দলিতদের ভোট তাদের প্রার্থীদেরই পাওয়ার কথা।

সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র রাজেন্দ্র চৌধুরী এই সমঝোতার শক্তির ভরসায় জয়ের বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আর সমাজবাদী ও বহুজন সমাজবাদীদের যৌথ প্রতিরোধের সমালোচনা করেছেন আদিত্যনাথ। বিজেপির বিরুদ্ধে বহুজন সমাজবাদী ও সমাজবাদী পার্টির সমঝোতাকে ঝড়ের ভয়ে আম ও সাপের জড়িয়ে থাকার মতো ক্ষণস্থায়ী সম্পর্কের সঙ্গে তুলনা দিয়েছেন তিনি। বিজেপির জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুশাসন ও উন্নয়নের নীতির প্রতি আস্থা রেখে জনগণ বিজেপিকেই ভোট দেবে। ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে, ভোট গণনার সর্বশেষ খবর মোতাবেক, সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীরা বিজেপির প্রার্থীদের চেয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছে।