প্রতিবেশীদের মধ্যে নেপালই অগ্রগণ্য: মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নেপাল গেছেন। শুক্রবার শুরু হওয়া এ সফরে মাধ্যমে অতীতের তিক্ততা ভুলে দুই দেশের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করা হবে। মিয়ামি হেরাল্ড জানিয়েছে, ২০১৫ সালে ভারতের সমর্থনে দেশটিতে আন্দোলন হলে তা দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরিয়ে দিয়েছিল। এবারের সফরে মোদি নেপালের প্রতি ভারতের বন্ধুত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। নেপালের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান।s2.reutersmedia.net

শুক্রবার সফরের শুরুতেই মোদি নেপালের দক্ষিণে জানাকপুরের এক হিন্দু মন্দিরে গিয়েছিলেন। সেখানে হওয়া জনসভায় মোদি বলেছেন, ‘প্রতিবেশীদের মধ্যে নেপালই অগ্রগণ্য। এখানে এসে আমার মনে হচ্ছে না, আমি অন্য কোনও দেশে এসেছি। আমার মনে হচ্ছে, আমি আমার দেশের জনগণের মধ্যেই আছি।’ মোদি সেখানে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে জানাকপুর-আযোধ্যা সরাসরি বাস চালাচল পরিসেবার উদ্বোধন করেন। জানাকপুর ও অযোধ্যা শহর দুটি হিন্দুদের কাছে পবিত্র। এই দুই শহরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ‘রামায়ণ সার্কিটের’ অংশ। ভারত ও নেপাল জুড়ে ‘ধর্মীয় পর্যটনের’ সুযোগ বাড়াতে ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর যাতায়াত ব্যবস্থা ‘রামায়ণ সার্কিট’ নামে পরিচিত।

 সেখান থেকে মোদি রাজধানী কাঠমান্ডুর দিকে যাত্রা করেন। তখন তার সঙ্গে ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। জানাকপুরেই ২০১৫ সালের আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। ভারত সমর্থিত গোষ্ঠী তাদের রাজ্যে আরও বেশি এলাকা যুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। ভারতও তাদের সমর্থনে নেপালের ওপর আরোপ করেছিল রফতানি নিষেধাজ্ঞা। ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নেপালে জ্বালানি তেল, ওষুধ ও অন্যান্য রসদের তীব্র সঙ্কট তৈরি হয়। তিক্ততা বাড়ে দুই দেশের মধ্যে। ওলি নির্বাচিত হওয়ায় ভারত রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। মিয়ামি হেরাল্ড লিখেছে, নির্বাচনের আগেই মোদি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অলির সঙ্গে দেখা করতে পাঠিয়েছিলেন। আর নির্বাচিত হওয়ার পরপরই অলি ভারত সফরে গিয়েছিলেন।

এদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেপালের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। জল বিদ্যুৎ প্রকল্পটি ৯০০ মেগাওয়াটের।  ১০০ কোটি ডলারের চেয়েও বেশি অর্থ ব্যয়ে নির্মিতব্য ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পেয়েছে ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘সাতলুজ জাল ভিদ্যুত নিগাম’ (এসজিভিএন)।