ঝড়-বজ্রপাতে ভারত জুড়ে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু

রবিবার ভারত জুড়ে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হওয়ার কথা জানা গেছে। বজ্রপাত ও ঝড়ের কারণে উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লিতে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঝড়ের কবলে পড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে  সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর জনজীবন। টাইমস অফ ইন্ডিয়া লিখেছে, রাজগুলো আহতদের চিকিৎসা প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সরবরাহের আদেশ দিয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১০৯ কিলোমিটার।xpskjpkzza-1526231039

উত্তর প্রদেশে শুধু শিলা বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪২ জন, আহত হয়েছেন আরও ৮৩ জন। রাজ্যটির লক্ষ্মীপুর খেরি এলাকায় ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।  সেখানে ঝড়ের কবলে পড়ে সম্পূর্ণ বা আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৮৪টি বাড়ি ও ভবন।। সাম্ভাল এলাকায় ক্ষতি হয়েছে ৩১ টি ভবনের। আর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মোট বাড়ির সংখ্যা ১২১টি। ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়া ও দেওয়াল  ধসে পড়ার মতো কারণে মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি  বজ্রপাতেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। উত্তর প্রদেশে রাস্তায় লাগানো বড় বিজ্ঞাপনের বোর্ড ভেঙে পড়ায় একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বারবানকি ও বেরেল্লির প্রত্যেকেটিতে ৫ জন করে মারা গেছেন। সরকারি সূত্র মোতাবেক বিরূপ আবহাওয়ার কারণে বেশি গবাদি পশু মরা গেছে কাসগঞ্জ এলাকায়।

পশ্চিমবঙ্গেও শনিবারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যটিতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু ও ১৫ জনের আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারি বৃষ্টিপাতের মধ্যে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটায় তারা হতাহত হয়েছেন। হাওড়া জেলায় ৫ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার প্রত্যেকটিতে  ২ জন করে এবং মুর্শিবাদ জেলায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

হাওড়াতে প্রাণ হারানো ৫  জনের মধ্যে ৪ জনই শিশু। ঝড়ের মধ্যে আম কুড়ানোর সময় বজ্রাঘাতে তদের মৃত্যু হয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশেও একই অবস্থা । সেখানে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৯ জন। শ্রীকাকুলাম ও কাড়াপাতে আহত হয়েছেন ৩ জন।

দিল্লিতে ২ জনের মৃত্যুসহ অন্তত ১৮  জনের আহত হওয়ার খবর জানা গেছে। শুধু দিল্লিতেই ১৮৯ টি গাছ উপড়ে গেছে। বাতিল করা হয়েছে প্রায়৭০ টি বিমানের ফ্লাইট