ভারতের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সংলাপ বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র

ভারতের সঙ্গে আগামী জুলাই মাসে নির্ধারিত উচ্চপর্যায়ের সংলাপ বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ৬ জুলাই উভয় দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই সংলাপে বসার কথা ছিল। বুধবার ‘অনিবার্য কারণে’ যুক্তরাষ্ট্র এই সংলাপ বাতিল করেছে। হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

minister-conference-president-washington-arrive-indian-prime_2a632380-7a2e-11e8-98f1-ed5cda4a01f0

মাত্র এক সপ্তাহ আগে সংলাপটির তারিখ ঘোষণা করেছিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে করে কয়েক মাসের অনিশ্চয়তা কেটেছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমরা টুইটারে জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে কথা বলেছেন। এতে অনিবার্য কারণে উচ্চপর্যায়ে সংলাপটি বাতিলে পম্পেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

অবশ্য এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সংলাপ বাতিল এমন সময় করা হলো যখন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি নিকি হ্যালি ভারত সফরে এসে নয়াদিল্লির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত আছেন।

পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ ও ইরানের কাছ থেকে তেল কেনা নিয়ে মার্কিন-ভারত সম্পর্ক জটিলতায় রয়েছে। ২৩ জুন টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, শুল্কারোপ নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চললেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এক হাজার বেসামরিক পরিবহন বিমান কিনতে চায় ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তেল ও গ্যাস আমদানিও বাড়াতে চাইছে ভারত। এজন্য নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এক হাজার বিমান কিনতে দেশটির খরচ হবে ৫০০ কোটি ডলার এবং তেল ও গ্যাস আমদানিতে খরচ হবে ৪০০ কোটি ডলার। প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় থেকে এই হিসাব আলাদা। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১২টি সারভেইল্যান্স বিমান কিনবে ভারত।

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি যোগাযোগ ও নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এসব চুক্তি চূড়ান্ত হবে। তবে সংলাপটি বাতিল হওয়ায় এসব চুক্তি স্বাক্ষরও অনিশ্চয়তা পড়ে গেছে।