শহিদুল আলমের মুক্তি চাইলেন অমর্ত্য সেন

বিশ্বনন্দিত আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তির দাবি তোলা বরেণ্য শিক্ষাবিদ, শিল্পী, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের তালিকায় যোগ দিয়েছেন নোবেল জয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি বলেছেন, কঠোর আচরণের পরিবর্তে শহিদুলের কাজের প্রশংসা করা উচিত। শহিদুলের মুক্তির দাবিতে প্রচারণা চালানো ভারতীয় ফটোগ্রাফারদের কাছে এ কথা বলেছেন ১৯৯৮ সালে নোবেল পাওয়া এই অর্থনীতিবিদ।

অমর্ত্য সেন

গত ৫ আগস্ট পুলিশের হাতে আটকের পর রিমান্ড শেষে কারাগারে থাকা শহিদুলের মুক্তি চেয়ে এরইমধ্যে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী নোম চমস্কি, ভারতীয় বুদ্ধিজীবী অরুন্ধতী রায় ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ব বরেণ্য বুদ্ধিজীবী। সাংবাদিকতার সুরক্ষা, মানবাধিকার ও আলোকচিত্র সংশ্লিষ্ট বেশকিছু সংগঠনের পক্ষ থেকেও তাকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ঢাকার দৃক ফটো গ্যালারি ও পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশ্বনন্দিত আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তির দাবি করে ভারতীয় ফটোগ্রাফারদের অমর্ত্য সেন বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাকস্বাধীনতা, যার মধ্যে চিত্রসাংবাদিকতাও রয়েছে। নিজের মহৎ দক্ষতা ও সাহসের ওপর ভর করে বহু বছর ধরে যে কাজ শহিদুল আলম করে আসছেন তার প্রশংসা করার অনেক কারণ রয়েছে। কঠোর আচরণের পরিবর্তে তার কাজের প্রশংসা আর মর্যাদা পাওয়া উচিত।’

বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস-সিপিজে ছাড়াও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংগঠন শহিদুলের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।

ঢাকার একটি বিচারিক আদালতের নির্দেশে গত ১২ আগস্ট পর্যন্ত রিমান্ডে রাখার পর শহিদুলকে ঢাকার কেরাণিগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট ঈদুল আজহার দিনে  তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান শহিদুলের স্ত্রী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। ওই সাক্ষাতের পর তাকে কারা হাসাপাতালে স্থানান্তর করা হয়।