উত্তরপ্রদেশে গো-রক্ষকদের সহিংসতা, বজরং দলের কর্মীসহ গ্রেফতার ৪

ভারতের উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে সোমবারের সহিংসতায় ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দায়ের করা মামলার আসামীদের মধ্যে হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের বেশ কয়েকজন কর্মী রয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে বজরং দলের স্থানীয় এক কর্মীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।। গো-হত্যার অভিযোগে শুরু হওয়া এই সহিংসতায় এক পুলিশ ও একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এখবর জানিয়েছে।

Buland1

মিরাত অঞ্চলের পুলিশের এডিজি প্রশান্ত কুমার জানান, এই সহিংসতার ঘটনায় চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই সহিংসতার ঘটনায় পৃথক আরেকটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে স্থানীয় সাতজন মুসলিম নাগরিকের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে গো-হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশের দায়ের করা এফআইআর-এ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতনামা। যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে বজরং দলের কর্মীরা রয়েছেন।

সোমবার সকালে বুলন্দশহরের কাছে একটি গ্রামের কাছে ২৫টি গরুর দেহ পড়ে থাকা দেখে কিছু মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বিক্ষোভ শুরু হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে যোগ দেয় বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মীরা। পুলিশ সড়ক অবরোধ তুলতে গেলে স্থানীয়রা তাদের তাড়া করে। এসময় পুলিশের এক  ইন্সপেক্টরের মাথায় পাথর লাগলে তিনি আহত হন। পুলিশের গাড়ির চালক এসইউভিতে তুলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গাড়ির পিছনে তাড়া করে উত্তেজিত জনতা। গাড়িটি নিয়ে চালক মাঠের ওপর দিয়ে পালাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি। পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে স্থানীয় এক ব্যক্তি নিহত হন। তাকে কে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পুরো ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট চেয়েছেন দু’দিনের মধ্যে। পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় গঠন করা হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি বলেছেন, বুলন্দশহরে যা ঘটেছে তা মানবতার লজ্জা। রাজ্য সরকার বলেছে, যারা এর জন্য দায়ী তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।