অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের জন্য আইন পাসের দাবি, দিল্লিতে সমাবেশ

রবিবার (৯ ডিসেম্বর) লক্ষাধিক হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক কর্মী দিল্লির রামলীলা ময়দানে সমাবেশ করেছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হিন্দু ধর্মীয় সাধুরা। সংশ্লিষ্টদের দাবি, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণে আইন পাস করতে হবে।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আরএসএসের প্রধান মোহন ভগওয়াত প্রথম আইন পাসের মাধ্যমে বাবরি মসজিদের স্থানে একটি মন্দির নির্মাণের বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি তুলেছিলেন। আদালতের ফলাফল প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যে না হওয়ায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য আইন পাসের দাবি হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে দিন দিন জোরালো হচ্ছে।

s1.reutersmedia.net

এসব হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক কর্মীরা মূলত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির সহযোগী সংগঠন ভিএইচপি, আরএসএস সদস্য। গত তিন দশক ধরেই অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের দাবিকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের আগে উত্তেজনা তৈরি করতে দেখা গেছে বিজেপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোকে। ভারতে ২০১৯ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ২০১৪ সালে যেরকম সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল, এবার সেই রকম সাফল্য তারা পাবে না। আর সেজন্যই হিন্দুত্ববাদী প্রচার চালিয়ে ধর্মীয় আবেগে চড়ে নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে চাইছে তারা।

হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, অযধ্যার বাবরি মসজিদের স্থানটি রামের জন্মভূমি। সেখানে একটি মন্দির ছিল। কিন্তু ১৫২৮ সালে মোঘল সম্রাট বাবরের আদেশে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। ১৯৯২ সালে হিন্দুত্ববাদীরা মসজিদটির একাংশ ভেঙে ফেলে। এতে ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, যাতে মারা যায় দুই হাজার মানুষ। ১৯৪৭ সালের পরে হওয়া বড় দাঙ্গাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। বাবরি মসজিদের স্থানটি কার অধীনে যাবে, তা নিয়ে এখনও ভারতীয় আদালত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।

ভিএইচপির নেতা শারাদ শার্মা রবিবার বলেছেন, ‘এটা কোটি কোটি হিন্দুর বিশ্বাসের বিষয়। তারা রামের জন্মস্থানে একটি মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দেখার জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষায় থাকতে পারে না।’ সংগঠনের আয়োজনে হওয়া সমাবেশে দাবি করা হয়েছে, মোদি যেন আইন পাস করে বাবরি মসজিদের সঙ্গে একটি মন্দির নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। গত মাসেও হাজার হাজার হিন্দুত্ববাদী অযোধ্যায় সমাবেত হয়েছিল মন্দির নির্মাণের দাবিতে।