কাশ্মিরে হামলা

সেনাবাহিনীকে যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে: মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কাশ্মিরের পুলওয়ামা হামলায় ৪৪ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহতের ঘটনায় কঠোর জবাব দিতে যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি এই হামলার ঘটনায় দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এখবর জানিয়েছে।

modi-759-11

এক জনসভায় মোদি বলেন, নিরাপত্তাবাহিনীকে হামলার ঘটনায় যে কোনও সময়, যে কোনও স্থানে এবং যে কোনও ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটা নতুন ভারত ও নতুন নীতি।

বৃহস্পতিবারের হামলা নিয়ে দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নামের ভারতের দ্রুতগতির ট্রেন উদ্বোধন ও নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পরে ঝাঁসিতে জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি।

হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, ‘যারা একের পর এক এই ধরণের ভুল করে চলেছেন, তাদের এই জন্য উপযুক্ত মূল্য দিতে হবে। জঙ্গিরা বিরাট ভুল করেছে। এই হামলার জন্য যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আমি তাদের কথা দিচ্ছি তারা উপযুক্ত বিচার পাবে।’

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মোদি বলেন, সারা দেশের বক্তব্য যেন এখন এক হয়। বিশ্বের কাছে যেন আমাদের ঐক্যের বার্তা যায়।  আমাদের প্রতিবেশী দেশ এই সময় অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে, যে রাস্তা দিয়ে তারা চলছে তা তাদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। সারা ভারতবাসী এই হিংসাত্মক ঘটনার উপযুক্ত জবাব দেবে। পৃথিবীর বহু দেশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। এই আতঙ্কবাদ সমূলে উৎপাটিত করার জন্য সারা পৃথিবীকে একত্রে লড়াই করতে হবে।

মোদি আরও বলেন, দেশের সুরক্ষা ও দেশের সমৃদ্ধি এই দুই স্বপ্ন নিয়েই যেকোনও জওয়ান বেঁচে থাকে। যে জওয়ানরা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্বপ্ন আমরা বিফল হতে দেব না। আমরা সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে গিয়েই দেশকে সুরক্ষা প্রদান করব। 

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর প্রায় ২৫০০ সদস্যকে নিয়ে ৭০টি গাড়ির একটি বহর জম্মু থেকে কাশ্মির যাচ্ছিলো। এরমধ্যে ৪৪ জন জওয়ানকে বহনকারী একটি বাসের ওপর আত্মঘাতী হামলা চালায় জয়েশ-ই-মোহাম্মদ সদস্যরা। প্রায় সাড়ে তিনশ’ কেজি বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি নিয়ে বাসটিকে ধাক্কা দেওয়া হয়। এতে ৪০ জনেরও বেশি জওয়ান নিহত হয়। আহত হয় আরও অনেকে। হামলার পর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-এ-মোহাম্মদ। গোষ্ঠীটি কাশ্মিরে ভারতীয় শাসনের অবসান চায়। মতাদর্শগতভাবে কাশ্মিরকে পাকিস্তানের অঙ্গীভূত করার পক্ষে অবস্থান তাদের।