কাশ্মিরে বন্দুকযুদ্ধে পুলওয়ামা হামলার মূল হোতা নিহত: সেনা সূত্র

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ৪০ সিআরপিএফ নিহতের হামলার মূলহোতা দক্ষিণ কাশ্মিরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনা সূত্র। সোমবার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই’র খবরে বলা হয়েছে, বন্দুকযুদ্ধে মুদাসির আহমেদ খান নামে জইশ-ই-মোহাম্মদের জঙ্গি নিহত হয়েছে।

th03-vijaita-JGE94KK2OK3jpg

 

সেনা কর্মকর্তারা জানান, দক্ষিণ কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলার ত্রাল এলাকায় রবিবার মধ্যরাতের পর এই বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে জইশ-ই-মোহাম্মদের মুদাসির আহমেদ খান ওরফে মহদ ভাইসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের মরদেহ শনাক্ত করার অবস্থায় নেই এবং তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাবাহিনী পিংলিশে ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্যে ওই এলাকায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে খবর পাওয়ার পর এই অভিযান শুরু করা হয়। জঙ্গিরা গুলি শুরু করলে তা বন্দুকযুদ্ধে পরিণত হয়।
রবিবার ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, কম পরিচিত জইশ জঙ্গি মুদাসির খান ১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফ গাড়িবহরে হামলার মূলহোতা ছিল। তদন্তে জড়ো হওয়া প্রমাণাদির কথা তুলে ধরে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ২৩ বছরের মুদাসির খান পেশায় একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান এবং স্নাতক পাস করা পুলওয়ামার বাসিন্দা। সন্ত্রাসী হামলার জন্য গাড়ি ও বিস্কোরকের ব্যবস্থা করেছিল সে।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে, মিরমহল্লা গ্রামে বাসকারী মুদাসির ২০১৭ সালের কোনও একসময়ে জইশে যোগ দেয়। প্রথমে প্রকাশ্য কর্মী হিসেবে যোগ দিলেও পরে নুর মোহাম্মদ তান্ত্রি তাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তান্ত্রি নিহত হলে ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় মুদাসির। এরপর থেকেই সে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে সক্রিয়।
গোয়েন্দারা জানান, হামলায় আত্মঘাতী আদিল আহমেদ দারের সঙ্গে মুদাসিরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। স্নাতক পাস করার পর মুদাসির ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (আইটিআই) থেকে ইলেক্ট্রিশিয়ান বিষয়ে এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করে। শ্রমিক বাবার বড় ছেলে মুদাসির ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুঞ্জাওয়ান সেনা ঘাঁটিতে হামলায় জড়িত ছিল বলেও ধারণা করা হয়। ওই হামলায় ৬ সেনা ও ১ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছিল। এর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সিআরপিএফ ঘাঁটিতে হামলার পর তার ভূমিকা গোয়েন্দাদের নজরে আসে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ২৭ ফেব্রুয়ারি মুদাসিরের বাসায় তল্লাশি অভিযান চালায়।