উত্তরাখণ্ডে মাদ্রাসা চালু করবে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস

ভারতের উত্তরাখণ্ডে প্রথমবারের মতো মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মতাদর্শিক সংগঠন হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস। এই মাদ্রাসা চালু করছে সংগঠনটির সংখ্যালঘু শাখা মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ (এমআরএম)। ভারতে এ পর্যন্ত পাঁচটা মাদ্রাসা খুলেছে এমআরএম। তবে উত্তরাখণ্ডে এটাই হবে প্রথম মাদ্রাসা। আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেরাদুনে চালু হবে এই মাদ্রাসা।

madrasas-l

আরএসএস’র পক্ষ থেকে মাদ্রাসা গড়ে তোলার খবরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ভারতে। সমালোচকরা বলছেন, এটা সংঘ পরিবারের ষড়যন্ত্র। তারা মাদ্রাসা ও মুসলিমদের সংস্কৃতির ওপর আঘাতের আশঙ্কা করছেন। তবে কেউ কেউ বলছেন, মাদ্রাসার মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় ক্ষতির কিছু নেই।

আরএসএস জানায়, মাদ্রাসা সম্পর্কে বহু মানুষের ভুল ধারণা রয়েছে। এমআরএমের প্রতিটি মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হয় ছাত্রদের। শুধু ছাত্র নয়, উত্তরাখণ্ডের এই নতুন মাদ্রাসায় ছাত্রীদেরও ভর্তির সুযোগ থাকবে।

সংগঠনের তরফে আরও বলা হয়েছে, শুধু সিলেবাসভিত্তিক পাঠ নয়, এই মাদ্রাসায় সাধারণ জ্ঞান, কম্পিউটার ও প্রযুক্তিগত বিদ্যাতেও জরুরি পাঠ দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের।

এমআরএম’র রাজ্য সংগঠনের প্রধান সীমা জাভেদ জানান, জমি কেনা হয়ে গেছে। মাদ্রাসা তৈরির কাজ শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যেই। সিলেবাসে কী কী পাঠক্রম থাকবে সেটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইচ্ছামতোই সাজানো হয়েছে। মোদি চান, শিক্ষার্থীদের এক হাতে থাকবে কোরআন, অন্য হাতে কম্পিউটার।

এর আগে উত্তর প্রদেশে পাঁচটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিল এমআরএম। মোরাদাবাদ, হাপুর, বুলন্দশহরে একটি ও মুজাফফরনগরে দুটি।

এমআরএম’র জাতীয় উপ-সাংগঠনিক সম্পাদক তুষার কান্ত হিন্দুস্তানি বলেন, ‘আমরা চাই না মাদ্রাসায় শুধু কাজী, ক্বারি, ইমাম, মাওলানা, মুফতি তৈরি না হয়। বরং তাদের মধ্যে থেকেও ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী তৈরি হোক।’

তুষার কান্ত জানান, শুধু মুসলিম নয়, যেকোনও ধর্মের ছাত্রছাত্রীরাই এ মাদ্রাসায় ভর্তি হতে পারবে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।