কাশ্মির প্রশ্নে মতবিরোধ: মালয়েশিয়া থেকে পাম ওয়েল কিনবে না ভারত

মালয়েশিয়া থেকে পাম ওয়েল আমদানি বন্ধ করতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছে ভারতের ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ একটি সংগঠন। কাশ্মির ইস্যুতে মালয়েশিয়া দিল্লির সমালোচনা করায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সলভেন্ট এক্সট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এসইএআই)। তবে এনিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আর মালয়েশিয়া বলছে এই সিদ্ধান্তে ভারতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

Malaysia_modi-770x433

গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে দিল্লি শাসিত কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত সেনা। গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে কাশ্মির প্রশ্নে ভারতের তীব্র সমালোচনা করেন মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। সে সময় তিনি বলেন, জাতিসংঘের রেজুলেশনকে উপেক্ষা করে জম্মু-কাশ্মিরকে অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তবে কাশ্মির ইস্যুকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করে আসছে ভারত।

গত সোমবার এসইএআই সভাপতি অতুল চর্তুবেদি সদস্যদের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, বিনা প্ররোচনায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর করা মন্তব্য আমাদের সরকার উদারভাবে গ্রহণ করেনি এবং প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে। এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে ভারতের ভোজ্য তেল শিল্প ভারত সরকারের কাছ থেকে পরিস্কার কোনও দিকনির্দেশনা পাওয়ার আগ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার পাম ওয়েল কেনা বন্ধ রাখবো। অতুল চর্তুবেদি বলেন, নিজস্ব স্বার্থের পাশাপাশি দেশের প্রতি সংহতি জানিয়ে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাম ওয়েল উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশ মালয়েশিয়া। ২০১৮ সালে দেশটির পাম ওয়েলের তৃতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক ভারত। এ বছর ভারতে ১৬৩ কোটি মার্কিন ডলারের পাম ওয়েল রফতানি করে মালয়েশিয়া। কুয়ালালামপুরের বার্ষিক জিডিপির ২ দশমিক ৮ শতাংশ আসে ভোজ্য তেল থেকে।    

কাশ্মির নিয়ে মালয়েশিয়ার অবস্থানের জোরালো বিরোধিতা করেছে ভারত সরকার। তবে বাণিজ্য ইস্যুতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয়নি। পাম ওয়েল কেনা বন্ধের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

মালয়েশিয়ার পাম ওয়েল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানকে উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আমদানি বন্ধ করলে ভারতও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তবে সিইএআই-এর নির্বাহী পরিচালক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, মালয়েশিয়ার সরবরাহের বহু বিকল্প আছে সেখান থেকে আমাদের শোধনাগারগুলো সহজেই সংগ্রহ করতে পারবে।