৫ আগস্টের পর কাশ্মিরে ৭৬৫ পাথর নিক্ষেপকারী গ্রেফতার: ভারত

জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ অধিকার বাতিলের পর ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় ৭৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভারত সরকার দেশটির লোকসভায় এই তথ্য জানিয়েছে। এই প্রথমবারের মতো ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাশ্মিরে গ্রেফতারকৃতদের একটি সংখ্যা পার্লামেন্টে তুলে ধরলো। এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।

764287-kashmir-stone-pelters

৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তখন থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে কাশ্মির। সীমিত রয়েছে ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবা। সেখানকার জনশূন্য রাস্তায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র সেনারা। আটক করা হয়েছে শত শত নেতাকর্মীকে। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লোকসভায় জানায়, গ্রেফতারকৃতদের বেশিরভাগ পাথর নিক্ষেপকারী। জম্মু-কাশ্মিরে পাথর নিক্ষেপের প্রবণতা বন্ধ করে সরকার বহুমুখী নীতি গ্রহণ করেছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি. কিশান রেড্ডি বলেন, সরকারের এসব পদক্ষেপে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা কমে আসছে। ৫ আগস্ট থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাথর নিক্ষেপ বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য ৭৬৫ জনকে গ্রেফতার এবং ১৯০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত এমন মামলার সংখ্যা ছিল ৩৬১।

ভারতী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, তদন্তে উঠে এসেছে যে, হুরিয়াতের অন্তর্ভূক্ত বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ও তাদের কর্মীরা কাশ্মির উপত্যকায় পাথর নিক্ষেপে জড়িত। এনআইএ সন্ত্রাসীদের অর্থায়নের জন্য এখন পর্যন্ত ১৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করেছে।

রেড্ডি পার্লামেন্টকে জানান, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর স্কুল ও কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে বাড়ছে। ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ চলমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

ছররা গুলির ব্যবহারের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রচুর সাবধানতা অবলম্বন করে এই বন্দুক ব্যবহার করা হয়। বেসামরিকদের জীবন রক্ষা ও গুরুতর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতেই ছররা গুলি ছোড়া হয়।