সম্প্রীতির বার্তা ছড়াতে মোদি মসজিদে সব ধর্মের মানুষেরা

বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে পুরো ভারতে যখন বিক্ষোভ চলছে ও ধর্মীয় রেষারেষি বাড়ছে তখন বেঙ্গালুরুর ১৭০ বছর পুরনো মোদি মসজিদ সম্প্রীতির বার্তা দিতে সব ধর্মের মানুষের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে।

WhatsApp-Image-2020-01-19-at-13.57.33

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরুর তাস্কর শহরে অবস্থিত প্রাচীন মোদি মসজিদে রবিবার সেখানে প্রবেশ করেছেন কয়েকশ হিন্দু, খ্রিস্টান ও শিখ ধর্মালম্বী। নাম মোদি মসজিদ হলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামের সঙ্গে এই মসজিদের কোনও সম্পর্ক নাই।

মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারতের এই কঠিন সময়ে সম্প্রীতির বার্তা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। এমনিতে মসজিদে বিধর্মী মানুষদের প্রবেশ নিয়ে বিভিন্ন রীতিনীতি রয়েছে। কিন্তু সেই সবের ঊর্ধ্বে মানবধর্ম প্রতিষ্ঠা করতেই তাদের এই উদ্যোগ।

রহমত গ্রুপ নামের একটি এনজিও’র উদ্যোগে রবিবার প্রায় ৪০০ জনের বেশি অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ প্রবেশ করেন ১৭০ বছরের পুরনো এই মসজিদে। বিভিন্ন ধর্মের এবং ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, মজুর, থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন মসজিদে। তবে সব ধর্মের মানুষকে প্রবেশাধিকার দিলেও এ নিয়ে যাতে  বিতর্ক না হয়, সে জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে নাগরিকত্ব আইন বা সব ধরনের রাজনৈতিক আলোচনায় নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল।

রহমত গ্রুপের পক্ষ থেকে আগামীতেও এমন আরও উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে এনজিওটি মসজিদে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে একটি সেমিনার করেছিল।

উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।