কেউ মরতে এলে বাঁচবে কী করে: আদিত্যনাথ

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ দাবি করেছেন, রাজ্যটিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে কোনও প্রতিবাদকারী নিহত হননি। রাজ্যসভায় বুধবার তিনি আরও বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা নিজেদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্ক্রল এখবর জানিয়েছে।

136812-sqpnvfqdsf-1582121703

ভারতে বিতর্কিত সিএএবিরোধী বিক্ষোভে সবচেয়ে বড় ধরনের দমন পীড়ন হয়েছে উত্তর প্রদেশে। ২০ ও ২১ ডিসেম্বর বিক্ষোভকালে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। বেশিরভাগই আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাতে মারা গেছেন। রাজ্যের বিজনর জেলার এক পুলিশ কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন আত্মরক্ষার্থে বিক্ষোভের সময় তিনি এক বিক্ষোভকারীকে গুলি করেছেন।

আদিত্যনাথ বলেছেন, ডিসেম্বরে বিক্ষোভের সহিংসতার ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করা উচিত। কারণ এরপর আর বিক্ষোভ হয়নি।

তিনি বলেন, কেউ যদি মরতে আসে, তাহলে বাঁচবে কী করে। কেউ যদি কোনও নির্দোষ মানুষকে হত্যা করতে আসে এবং পুলিশ তাকে বাধা দেয়, তখন হয় তাকে অথবা পুলিশ সদস্যকে মরতে হবে। পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায়নি। দুর্বৃত্তরা অপর দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে মারা গেছে। সিএএবিরোধী বিক্ষোভের সময় একটি বড় ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তার সরকার বিক্ষোভের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু যারা সহিংসতা চালাতে চায় তাদেরকে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করা হবে। তিনি বলেন, আমি সব সময় বলি যে কোনও গণতান্ত্রিক বিক্ষোভে আমার সমর্থন রয়েছে। কিন্তু যে কেউ যদি গণতন্ত্রের আড়ালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চায়, যদি সেখানে সহিংসতা হয়... আমরা তাদের ভাষাতেই জবাব দেব।

বিক্ষোভে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরকারীদের প্রতি কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির সমর্থন ও সহানভূতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, তারা আমাদের সংবিধান শেখাতে গিয়ে এখন সংবিধানকেই অবমাননা করছে। ভালো হবে তারা এ থেকে নিজেদের দূরে রাখলে, না হলে খুব খারাপভাবে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।

সোমবার রাজ্য সরকার এলাহাবাদ হাই কোর্টকে জানিয়েছে, বিক্ষোভের সময় ৮৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩২২ জন এখনও কারগারারে রয়েছেন।