দিল্লিতে সহিংসতায় নিহত ৪২ জনের মধ্যে ২৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। জিটিবি হাসপাতাল ও বার্তা সংস্থা পিটিআই’র তথ্যের বরাতে এ তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার। শুক্রবার পর্যন্ত ৪২ জন নিহতের পাশাপাশি দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
সহিংসতায় নিহতদের পরিচয়:
১। মোবারক হোসেন, বাবরপুর এলাকার বাসিন্দা। বয়স ২৮ বছর। বিজয় পার্ক এলাকায় বুকে গুলিবিদ্ধ। আদি নিবাস বিহারের দর্বাঙ্গা এলাকায়। দিল্লিতে দিনমজুরের কাজ করতেন।
২। শহীদ খান আলভি, ২২ বছর বয়সী অটোরিকশা চালক। ভজনপুর দরগাহ এলাকায় পেটে গুলিবিদ্ধ।
৩। মুদাসছির খান, অটোরিকশা চালক ও কারদামপুরি এলাকার বাসিন্দা। পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু।
৪। নাজিম খান, ৩৫ বছরের ভাঙারি ব্যাপারি। গুলিবিদ্ধ।
৫। মোহাম্মদ ফুরকান, জাফরাবাদের ভনপুরা এলাকায় খাবার কিনতে বের হয়ে গুলিবিদ্ধ হন ৩০ বছরের এই ব্যক্তি।
৬। মেহতাব, ব্রিজপুরি এলাকার ২২ বছরের এই বাসিন্দাকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
৭। রতন লাল, দিল্লি পুলিশের একজন হেড কনস্টেবল। গোকুলপুরি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ৪২ বছরের এই ব্যক্তি।
৮। রাহুল সোলাঙ্কি, শিব বিহারের কাছে বাবু নগর এলাকার বাসিন্দা। পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। দুধ কিনতে বের হয়ে ঘাড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
৯। অঙ্কিত শর্মা, ২৬ বছরের এই ব্যক্তি নিরাপত্তা সহকারী হিসেবে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে কর্মরত ছিলেন। তিনি খাজুরি খাস এলাকার বাসিন্দা। চাঁদবাগের একটি নর্দমায় তার লাশ পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
১০। বিনোদ কুমার, ৪৫ বছরের এই ব্যক্তিকে বাড়ি ফেরার পথে ব্রাহমপুরিতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
১১। বির ভান সিং, ৪৮ বছরের এই ব্যক্তি খাবার আনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন।
১২। আশফাক হোসেন, মুস্তাফাবাদে ৩৪ বছরের ইলেক্ট্রিশিয়ানের শরীরে পাঁচটি গুলি লেগেছে। আল হিন্দ হাসপাতালে তার মরদেহ রাখা আছে।
১৩। দীপক, ৩৪ বছরের মান্দোলির বাসিন্দা। পেটে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন।
১৪। ইশাক খান, ২৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি কবির নগর এলাকায় বাস করতেন। মৃত্যু হয়েছে গুলিতে।
১৫। শান মোহাম্মদ, বয়স ৩৪ বছর। লোনি এলাকার এই বাসিন্দাও গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
১৬। প্রভেশ, মৌজপুর এলাকার ৪৮ বছরের এই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
১৭। জাকির, মুস্তাফাবাদের ২৪ বছরের এই যুবকের শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
১৮। দিলবার, জিটিভি হাসপাতাল তার বয়স ও আহত হওয়ার স্থান উল্লেখ করেনি। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
১৯। রাহুল ঠাকুর, হাসপাতালের তথ্য অনুসারে ব্রিজপুরি এলাকার ২৩ বছরের এই যুবকের মৃত্যু হয়েছে ‘হামলায়’।
২০। আমান, ধারণা করা হচ্ছে নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী। বয়স মাত্র ১৭ বছর।
২১। মারুফ, বয়স ৩২ বছ।
২২। সালমান, বয়স ও স্থান অজ্ঞাত।
২৩। ফায়জান, বয়স ২৪ বছর।
২৪। অলোক তিওয়ারি, বয়স ৩৪ বছর।
২৫। ইরফান, বয়স ২৫ বছর।
২৬। বাব্বু, বয়স ৩২ বছর।
২৭। আকবরি, ৮৫ বছরের বৃদ্ধ খাজুরি খাস এলাকার গামরি গ্রামের বাসিন্দা।
২৮। আইয়ুব সাব্বির, ৬০ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যাপারি।