ভারতে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ৫৭

ভারতে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ৫৭ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার এই ৫৭ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২৩ জন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভাইরাসের সংক্রমণ দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় ধাপে পৌঁছার আশঙ্কায় সতর্কতা ও প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

2


ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, আক্রান্ত ২২৩ জনের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা ১৯১। তালিকায় ৩২ জন বিদেশি রয়েছেন।
ইতোমধ্যেই ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। ১জন মহারাষ্ট্রে, ১জন দিল্লিতে, ১জন কর্ণাটকে, ১জন পঞ্জাবে ও ১জন ইতালীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে রাজস্থানে।
করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৩ জন। তাদের মধ্যে দিল্লিতে ৫, উত্তরপ্রদেশে ৯, কেরালায় ৩, রাজস্থানে ৩জন এবং কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানাতে ১জন করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এই মুহূর্তে ভারতে ১৭টি রাজ্য ও ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫২। এছাড়া যে রাজ্যগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেগুলি হলো হরিয়ানা ( ১৯ ), দিল্লি ( ১৬ ), রাজস্থান ( ১৯ ), কর্ণাটক ( ১৮) ও তেলঙ্গনা ( ১৯ )।
দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও করোনা আক্রান্ত দেখা দিয়েছে। তামিলনাড়ুতে এই সংখ্যা ৮। অন্ধপ্রদেশেও ৭জনের করোনা ভাইরাস হয়েছে। করোনার হাত থেকে রেহাই পায়নি উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিও। উত্তরাখণ্ডে ৬ ও পাঞ্জাবে ৮ জনের শরীরে রয়েছে করোনা ভাইরাসের জীবাণু।
উড়িষ্যাতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন। পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দু’জন। এই দুই তরুণই সম্প্রতি ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছিলেন। করোনা ভাইরাসের প্রভাব দেখা গিয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও। ইতোমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মিরে ১০জন, লাদাখে ৪জন ও চণ্ডিগড়ে ১জনের শরীরে করোনা জীবাণু পাওয়া গিয়েছে।
ভারতে করোনা প্রতিরোধে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী রবিবার ‘জনতা কারফিউ’ জারি করেছেন নরেন্দ্র মোদি।