২৭ মার্চ পর্যন্ত কলকাতা লকডাউন

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কলকাতায় ২৭ মার্চ বিকাল ৫ টা পর্যন্ত লকডাউন জারি করা হয়েছে। রবিবার রাজ্য সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে বন্ধ থাকবে জরুরি পরিষেবা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এখবর জানিয়েছে।

10
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের জারি করা ঘোষণায় বলা হয়েছে, ১৮৯৭ সালের মহামারী রোগ (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী সোমবার ২৩ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম ও শহর এলাকায় কিছু পরিষেবায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে। জনস্বার্থেই এই বিধিনিষেধ আরোপ করছে রাজ্য সরকার।
করোনাভাইরাসের কারণে ভারতজুড়ে বন্ধ রেল, মেট্রো, আন্তরাজ্য বাস পরিষেবা। এখন পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাসে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০ জন, মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। ১০০০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। একই পথে হাঁটছে আন্তরাজ্য বাস পরিষেবাও। সরকারি গণপরিবহণ, শপিং মল, দোকানপাট থেকে শুরু করে জমায়েত হতে পারে, এমন জায়গাগুলি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঞ্জাব, রাজস্থান।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, যে ৭৫ জেলায় করোনা ভাইরাস দেখা দিয়েছে, সেখানে শুধু জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে সব ট্রেন রাস্তায় রয়েছে, শুধু সেগুলিকেই গন্তব্যে পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এক সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা, ফ্লাইট কমানোর কথা বলতে শুরু করেছে অনেক সংস্থা।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, আমার অনেক ভাই ও বোন শহর ছাড়ছেন, যেখানে তারা রোজগার করেন এবং থাকেন। গ্রামে ফিরছেন তারা। ভিড়ের মধ্যে যাতায়াত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। যেখানেই আপনারা যান, সেখানকার লোকজনকেও বিপদে ফেলবে। তাদের অসুবিধা বাড়বে।
পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, কলকাতা ছাড়িয়ে হানা দিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও। গত কয়েকদিনে সেখানে ৩জন আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষস্কটল্যান্ড থেকে ওই মারণ রোগ শরীরে নিয়ে কলকাতায় এসেছেন এক তরুণী। কলকাতার পাশাপাশি ২৪টি জেলা সদরেও লকডাউন জারি করা হয়েছে। বন্ধ থাকবে বাস, তবে জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে।