বিমানে করোনা আক্রান্ত যাত্রী সন্দেহে ‘ঝাঁপ’ দিলেন পাইলট

করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক বিশ্বের প্রায় দেশেই। ভারতে ভাইরাসটির বিস্তাররোধে বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আতঙ্কে মানুষ গৃহবন্দি। বেশিরভাগ বিমান চলাচল স্থগিত হলেও অল্প কয়েকটি ফ্লাইট চলছে। এয়ার এশিয়ার এমনই একটি ফ্লাইট পুনে থেকে দিল্লি যাচ্ছিল। বিমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ রয়েছে এমন যাত্রীর কথা শুনে পাইলট ঘটিয়েছেন নজিরবিহীন কাণ্ড।

11

পুনে থেকে দিল্লিগামী বিমানের পাইলট যা করেছেন সেটিকে ছেলেমানুষী বলে অভিহিত করা হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এয়ার এশিয়ার যে বিমানটি তিনি চালাচ্ছেন তাতে উঠেছেন এমন এক যাত্রী, যার শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ রয়েছে। এটি জানার পরই ঘাবড়ে যান পাইলট। ভয় পেয়ে যান বিমানের অন্য যাত্রী ও কর্মীরাও। কিন্তু পাইলট যা করলেন তা একেবারে নজিরবিহীন। বিমানটি অবতরণের পর সাধারণ দরজা দিয়ে না বেরিয়ে পাইলট-ইন-কমান্ড বেছে নিলেন ককপিটের 'সেকেন্ড এক্সিট' অর্থাৎ দ্বিতীয় দরজা দিয়ে রীতিমতো বাইরে ঝাঁপ দিলেন তিনি।

২০ মার্চ এয়ার এশিয়ার বিমানটিতে ওই কাণ্ড ঘটে। ঘটনাটি ঘটে পুনে থেকে দিল্লিগামী এয়ার এশিয়ার বিমানে। যদিও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। ওই বিমানের সব যাত্রীকে বিমানবন্দরেই প্রাথমিক স্ক্রিনিং করা হয়। যদিও তাতে সবার ক্ষেত্রেই করোনা নেগেটিভ ধরা পড়ে।

জানা গেছে, করোনা লক্ষণযুক্ত ওই যাত্রী বিমানের একেবারে প্রথম সারিতেই বসেছিলেন, আর তাকে নিয়েই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়  বিমানে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর নিরাপত্তার খাতিরে বিমানটি অবতরণের পরে সেটিকে আলাদা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং স্যানিটাইজ করা হয়।

এই ঘটনার বিষয়ে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র বলেছেন, ২০ মার্চ করোনা আক্রান্তের লক্ষণযুক্ত এক যাত্রী বিমানটিতে করে পুনে থেকে নয়া দিল্লি আসেন। আমাদের ক্রুরা এই জাতীয় ঘটনায় কী করতে হবে তার জন্য যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এর পাশাপাশি আমরা জানাতে চাই যে, আমরা বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেও অত্যন্ত যত্ন-সহকারে যাত্রীদের পরিষেবা দিতে চাই।