গরু চোর সন্দেহে আসামে ৩ বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা

ভারতের আসামের করিমগঞ্জে গরুচোর সন্দেহে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। শনিবার রাতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছাকাছি একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় পুলিশ দাবি করেছে, ওই বাংলাদেশিরা গরু চুরি করতে অবৈধভাবে করিমগঞ্জ জেলায় প্রবেশ করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ খবর জানিয়েছে।

গণপিটুনি

করিমগঞ্জের এসপি কুমার সঞ্জিত কৃষ্ণ এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, পাথারকান্দির পুলিশ স্টেশনের আওতাধীন বগরিজান চা বাগান এলাকায় শনিবার রাতে তিন অজ্ঞাত বাংলাদেশি সন্দেহভাজন অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত হয়েছে।

এসপি কুমার সঞ্জিত আরও বলেন, আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে বাংলাদেশিরা বগরিজান এলাকা থেকে গরু চুরির উদ্দেশ্যে সীমান্ত অতিক্রম করেছে।  

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহতদের সঙ্গে খাবারসহ রশি, ফেন্সকাটার ও তার পাওয়া গেছে। মরদেহ হস্তান্তর ও বৃহত্তর তদন্ত শুরু হয়েছে।

ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, করিমগঞ্জের এই সীমান্ত ঘন জঙ্গল ও চা বাগান ঘেরা। পাথারিয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে এই এলাকার অবস্থান।

এর আগে ১ জুন ৪২ বছরের এক বাংলাদেশিকে গরু পাচারকারী সন্দেহে করিমগঞ্জের একই এলাকায় গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। সীমান্তের কয়েক কিলোমিটার দূরে পুটনি চা বাগান এলাকার একটি বাড়ি থেকে চার বাংলাদেশি ও দুই ভারতীয়কে গরুচোর সন্দেহে স্থানীয়রা মারধর করলে এ ঘটনা ঘটে।

গত বছরের আগস্টে করিমগঞ্জে এক বাংলাদেশি গরু পাচারকারী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের অ্যানকাউন্টারে নিহত হয়। ওই সময় বিএসএফ ও পুলিশ দাবি করেছিল, ৩০ জনের বেশি বাংলাদেশি গরু চুরি ও পাচার করতে ভারতে প্রবেশ করলে গুলি ছোড়া হয়।