ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে দশ ইউনিট

করোনাভাইরাস টিকা উৎপাদনকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের একটি প্লান্টে আগুন লেগেছে। পুনের মেয়র মুরালিধর মহল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মানজিরি প্লান্টে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দশটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় টিকা উৎপাদন এবং এর মজুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, মানজিরি প্লান্টের পঞ্চম ফ্লোরে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এই ফ্লোরে যক্ষ্মার প্রতিষেধক বিসিজি টিকা সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।  

সেরাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক সুরেশ যাদব জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের টিকা কোভিশিল্ড যেখানে উৎপাদন ও মজুত রাখা হয়েছে সেই স্থান থেকে অনেক দূরে অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়েছে।

পুনের মেয়র মুরলিধর মহল জানান, স্থানীয় সময় বেলা দুইটা ৫০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল বাহিনীর দশটি ইউনিট এবং আরও দুটি অতিরিক্ত ট্যাংকার।

পুনে মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের মুখ্য অগ্নিকাণ্ড কর্মকর্তা প্রশান্ত রানপাইজ বলেন, ‘ভবনের অভ্যন্তরে চার ব্যক্তি রয়েছেন। আমরা এখন পর্যন্ত তিন জনকে উদ্ধার করতে পেরেছি, যদিও ধোঁয়ার কারণে কাজে বিঘ্ন ঘটছে। আগুন এখন পর্যন্ত তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম তলায় ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত দশটি ইউনিট পাঠানো হয়েছে।’

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জারি করা এক নোটিশে বলা হয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে পুনে মিউনিসিপ্যাল কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন আর মাঠ পর্যায়ের সবশেষ অগ্রগতি জেনে নিচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি রাজ্য সরকারের সব সংস্থাকে সমন্বয় করার নির্দেশনা দিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট পুনের প্রায় একশ’ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। অগ্নিকাণ্ড শুরু হওয়া মানজিরি কমপ্লেক্স থেকে কোভিশিল্ড উৎপাদনের জায়গাটির দূরত্ব বেশ কয়েক মিনিটের।

ভবিষ্যতের মহামারি মোকাবিলা এবং প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর চিন্তা করে মানজিরি কমপ্লেক্সে অন্তত আট থেকে নয়টি ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।