সোস্যাল মিডিয়ার ওপর নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপের পরিকল্পনা ভারতের

টুইটারের সঙ্গে বিরোধের সূত্র ধরে সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর ওপর নতুন করে নিয়ন্ত্রণ আরোপের পরিকল্পনা করছে ভারত। খসড়া এক আইনের মাধ্যমে এই কোম্পানিগুলোকে তাদের প্লাটফর্ম থেকে বিতর্কিত কন্টেন্ট দ্রুত মুছে ফেলতে এবং তদন্তে সহায়তা বাধ্যতামূলক করতে চায় দিল্লি। অন্তবর্তী গাইডলাইন এবং ডিজিটাল মিডিয়া এথিকস কোড নামের এই খসড়া আইনটি হাতে পেয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

২০১৮ সাল থেকেই নিজেদের বর্ণিত বেআইনি ও ভুয়া তথ্য সম্বলিত কন্টেন্ট সোস্যাল মিডিয়া থেকে সরাতে কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। সম্প্রতি দেশটিতে চলমান কৃষক আন্দোলন সংক্রান্ত কন্টেন্ট মুছে দিতে অস্বীকৃতি জানায় টুইটার। এরপরই কোম্পানিগুলোকে আইনিভাবে বাধ্য করার উদ্যোগ নিয়েছে দিল্লি।

নতুন এই খসড়া আইনে বলা হয়েছে সরকার কিংবা বৈধ আদেশ পাওয়ার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কোম্পানিগুলোকে বিতর্কিত কন্টেন্ট সরিয়ে নিতে হবে। এছাড়া তদন্ত কিংবা সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনায় অনুরোধ করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সহায়তা করতে বাধ্য থাকবে কোম্পানিগুলো। এমনকি কোনও অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও ধরনের যৌন আচরণ সংক্রান্ত পোস্ট করা হলে অভিযোগ পাওয়ার এক দিনের মধ্যেই সেই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিতে হবে।

খসড়া ওই আইনে আরও বলা হয়েছে, সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে একজন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার এবং আইনপ্রয়োগকারী বাহিনীকে সহায়তার জন্য আরও একজন নির্বাহী নিয়োগ দিতে হবে। এদের প্রত্যেককে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।

তবে নতুন এই আইন কবে ঘোষণা করা হবে কিংবা এতে আর কোনও পরিবর্তন আনা হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন এই আইনের কারণে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভারতে নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনাকে বাধাগ্রস্থ করবে।