ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ কয়েক রাজ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

ভারতের তামিল নাড়ু, কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও পদুচেরি রাজ্য সরকারের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার জানানো হয়েছে গত ২৭ মার্চ থেকে এসব রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে আগামী ২ মে। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হবে আট ধাপে, ২৭ মার্চ, ১ এপ্রিল, ৬ এপ্রিল, ১০ এপ্রিল, ১৭ এপ্রিল, ২২ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল এবং ২৯ এপ্রিল। তামিল নাড়ু ও কেরালায় এক ধাপে ৬ এপ্রিল নির্বাচন হবে। একই দিন পদুচেরিতে নির্বাচন হবে। আর আসামে ভোট হবে ২৭ মার্চ, ১ এপ্রিল এবং ৬ এপ্রিল। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ভারতের আঞ্চলিক রাজনীতির উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গসহ কয়েকটি রাজ্যের ক্ষমতায় যেতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি। তবে তৃণমুলসহ স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচণ্ড বিরোধিতার মুখে পড়েছে তারা।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে রাজ্যগুলোতে আচরণ বিধি কার্যকর হয়েছে। ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনিল অরোরা জানিয়েছেন, এসব নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য ভোটারের পরিমাণ ১৮ কোটি।

বিহার নির্বাচনের পর করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে সবচেয়ে বড় নির্বাচন হতে যাচ্ছে এসব রাজ্যের নির্বাচন। নির্বাচনি কর্মকর্তাদের সম্মুখসারির কর্মী হিসেবে টিকা দেওয়া হবে।

পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি, তামিল নাড়ুতে ২৩৪টি, কেরালায় ১৪০টি, আসামে ১২৬টি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পদুচেরির ৩০টি আসনে নির্বাচন হবে।
আট ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে যুক্তি হিসেবে নির্বাচন কমিশন সহিংসতার আশঙ্কাকে সামনে এনেছে। বলা হয়েছে, ‘আইন শৃঙ্খলার কয়েকটি ফ্যাক্টর নিয়ে আমাদের পর্যালোচনা রয়েছে। গত বার সাত ধাপে হয়েছে ফলে এবার আট ধাপে হওয়াটা বড় কিছু নয়।’

দীর্ঘ সময় ধরে ভোট নেওয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘এক জেলাতেই (২৪ পরগণা) কেন তিন ধাপে ভোট হবে? নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের জন্যই কি এটা করা হয়েছে? বাংলার মেয়ের শুধু একটা কথাই বলার আছে। আপনাদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবো।’