ভারতে রাজনৈতিক স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে: প্রতিবেদন

বিশ্বের রাজনৈতিক অধিকার ও স্বাধীনতা বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে ভারতের অবস্থানের অবনতি হয়েছে।  মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম হাউজের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাধীন দেশ হিসেবে ভারতের অবস্থান 'মুক্ত' পর্যায় থেকে 'আংশিক মুক্ত' পর্যায়ে নেমে এসেছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতে নাগরিক স্বাধীনতা কমেছে। অবরুদ্ধ গণতন্ত্র শীর্ষক এই প্রতিবেদন নিয়ে অবশ্য তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত সরকার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম হাউজ রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করে থাকে। সংস্থাটির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘স্বাধীন নয়’ এমন দেশের সংখ্যা ২০০৬ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাধীন দেশের তালিকা থেকে ভারতের নেমে যাওয়ায় দুনিয়ার গণতান্ত্রিক মানের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। ২০১৪ সাল থেকেই দেশটিতে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বেড়েছে। একই সময় থেকে সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদের দমন, ঘৃণাবাদী আক্রমণ বিশেষ করে মুসলমানদের ওপর আক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশটির নাগরিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার পতন হয়েছে।

২০১৪ সালে ভারতের সাধারণ নির্বাচনে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বড় জয় পায়। পাঁচ বছর পরে আরও বড় জয় নিয়ে ক্ষমতায় ফেরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ফ্রিডম হাউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদির অধীনে  বিশ্বের গণতান্ত্রিক নেতা হওয়ার সম্ভাবনা ভারত ত্যাগ করেছে বলে মনে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠাকালীন সবার অংশগ্রহণ ও সম অধিকারের মূল্যবোধ ছেড়ে ভারত সংকীর্ণ হিন্দু জাতীয়তাবাদী স্বার্থের পথে হাঁটছে।