কলকাতায় পালিত হলো ৫০তম স্বাধীনতা দিবস  

কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে শুক্রবার ৫০তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করেছে। দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যায় কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের চার শতাধিক ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এরপর তিনি উপস্থিত সবাইকে নৈশভোজে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগদীপ ধনকড় বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তোলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান চিরস্মরণীয়। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্ববাসী চিরকাল স্মরণ করবে। 

রাজ্যপাল আরও বলেন, আজকের এই বিশেষ দিনে ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি প্রমাণ করে দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ়। 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বগুণের প্রশংসা করে জগদীপ ধনকর বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সামাজিক এবং অন্যান্য সব ক্ষেত্রে উন্নতি করে চলেছে।

এর আগে সকালে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। পতাকা উত্তোলনের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কলকাতা থেকে বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক আজকাল’ পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়।