মহারাষ্ট্রে ট্যাংকারে লিক, হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ২২ রোগীর মৃত্যু

ভারতের মহারা একটি হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাংকারে লিংক হওয়ার ঘটনায় অন্তত ২২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। লিক হওয়াতে সব অক্সিজেন ফুরিয়ে গেলে ভেন্টিলেটরে থাকা এই ২২ রোগী মারা গেছেন। বুধবার রাজ্যের নাসিক এলাকার জাকির হোসেন হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, এই দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটলো এবং কেন রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু কর্মকর্তারা বলছেন, টানা ৩০ মিনিটের মতো ভেন্টিলেটরে অক্সিজেনের সরবরাহ ছিল না। ফলে ভেন্টিলেটরে থাকা সব রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
নাসিক পৌর কমিশনার কৈলাশ যাদব বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে পদক্ষেপ নেব।

অক্সিজেনের সরবরাহ কমে গেলে ট্যাংকারকে ডাকা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালগুলোতে দেখা দিচ্ছে অক্সিজেন সংকট।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, যে ২২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে তারা সবাই ছিলেন ভেন্টিলেটর সার্পোটে। হাসপাতালে ভর্তি মোট ১৫০ জন রোগীই ছিলেন অক্সিজেন সহায়তা নির্ভর।

এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতিসহ সব বিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপ। তিনি বলেন, আমাদের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে যে রোগীরা ছিলেন তারা মারা গেছেন। তাদের যে ট্যাংকার থেকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল সেখানে লিক হয়েছিল। এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করা হবে।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্যাংকার থেকে অনবরত গ্যাস লিক করায় সাদা ধোঁয়াতে ছেয়ে গেছে গোটা হাসপাতাল চত্বর। শ্বাস নিতে না পেরে ধুঁকছেন রোগীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল কর্মীরা। অক্সিজেনের লিক থামাতে পানিও ছিটানো হয়।

মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, নাসিকের হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাংকার লিক করে দুর্ঘটনা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। এর জন্য যারা মারা গেলেন তাতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই দুঃসময়ে মৃতদের পরিবারের প্রতি আমি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।