ভারতে আরও তিন লাখ ৪৩ হাজার করোনা শনাক্ত

ভারতে গত পাঁচ দিন ধরে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ সাড়ে তিন লাখের আশপাশে রয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও তিন লাখ ৪৩ হাজার ১৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে চার হাজার জনের। এ নিয়ে টানা তিন দিন দৈনিক মৃত্যু চার হাজার ছুঁয়েছে। ভারতে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৬২ হাজার ৩১৭।

মহারাষ্ট্র, কর্নাটকে কিছুটা কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। সেজন্য জাতীয় পর্যায়ে দৈনিক সংক্রমণে রাশ পড়েছে। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, ছত্তীসগঢ়, গুজরাট, বিহার ও মধ্যপ্রদেশেও সংক্রমণ গত কয়েক দিনে কমেছে। তবে তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কেরালায় দৈনিক সংক্রমণ আগের চেয়ে বেড়েছে।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন বলেছেন, ভারতীয়রা অসচেতন। আর এজন্যই দেশটিতে সংক্রমণ বেড়েছে।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মানুষের সচেতনতার অভাবও ভারতে এই ব্যাপক সংক্রমণের অন্যতম কারণ। দেশটিতে জমায়েত বেড়ে গিয়েছিল। মানুষের মাস্ক পরা ও অন্যান্য কোভিড বিধি মেনে চলার প্রবণতাও কমেছিল। তার ফলে প্রথমে নিচের স্তরে অনেক দিন ধরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ধীরে ধীরে সেই সংক্রমণ উল্লম্বভাবে বাড়তে শুরু করে।’

এভাবে বাড়তে থাকলে একটা সময় পরে তা হাতের বাইরে চলে যেতে পরে বলেও সতর্ক করেছেন এই ভারতীয় বিজ্ঞানী। পাশাপাশি ভারতে টিকাদান কর্মসূচির ধীর গতিকেও দায়ী করেছেন সৌম্যা। তার ভাষায়, ‌‘ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার দুই শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বছর গড়িয়ে যাবে সবাইকে টিকা দিতে। তত দিনে ভাইরাস হয়তো নিজের চরিত্র বদল করে ফেলবে। তখন আর বর্তমান টিকার কার্যকারিতা থাকবে না।’