ব্ল্যাক, হোয়াইটের পর এবার ভারতে ইয়েলো ফাঙ্গাস

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই ভারতে ছত্রাকজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। কয়েক দিন ধরে ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাসে আক্রান্তের কথা জানা গেলেও এবার দেশটির উত্তর প্রদেশে ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি আরও বেশি বিপজ্জনক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম উয়ন নিউজ এখবর জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণকে ভারতে মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে। বিহারে গত সপ্তাহে হোয়াইট ফাঙ্গাসে আক্রান্ত চারজনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর সোমবার উত্তর প্রদেশের চিকিৎসকরা ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ব্যক্তির কথা জানালেন। এটি একটি বিশেষ ঘটনা। আক্রান্ত ব্যক্তি তিন ধরনের- ব্ল্যাক, হোয়াইট ও ইয়েলো ফাঙ্গাসে সংক্রমিত।

অবশ্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।

ইয়েলো ফাঙ্গাস সাধারণ সরীসৃপ প্রাণীতে থাকে। ওই রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক জানান, তারা ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তিকে এর আগে দেখেননি। ধারণা করা হচ্ছে, রোগীর আশেপাশে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।

শারীরিক ক্লান্তি, ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকা, ক্ষুধা কমে যাওয়া বা একেবারেই না থাকা, সংক্রমণ বেশি হলে ক্ষতস্থান থেকে পুঁজ বের হওয়া, ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে না ওঠা ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

কতটা বিপজ্জনক ইয়েলো ফাঙ্গাস?
বিষেশজ্ঞদের দাবি, ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাসের চেয়েও অনেক বেশি মারাত্মক ইয়েলো ফাঙ্গাস। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবেই এই সব ছত্রাক শরীরে বাসা বাঁধছে। আর এই হলুদ ছত্রাক শরীরে বাসা বাঁধার অন্যতম কারণ হতে পারে বাসি খাবার খাওয়া। চিকিৎসকদের মতে, ইয়েলো ফাঙ্গাসে সংক্রমণে মৃত্যুহার তুলনায় বেশি। কারণ এটি শরীরের ভেতরের অংশে বেশি ক্ষতের সৃষ্টি করতে সক্ষম।