ভাগ্যিস মাঝির চোখে পড়েছিল!

মাঝগঙ্গায় ভাসছিল কাঠের বাকশোটি। পাশেই নৌকা বাইছিলেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের দাদরা ঘাটের মাঝি গুল্লু চৌধুরী। চকচকে বাকশোটি দেখে গুল্লু মাঝি বুঝে নিয়েছিলেন, আর যাই হোক, ভেতরে সোনাদানা নেই। কারণ অতো ভারী হলে তো ডুবেই যেতো। তবু কৌতূহলী হয়ে নৌকাটা নিয়ে গেলেন বাকশের কাছে। কাছে আসতেই কানে এলো চাপা কান্নার আওয়াজ। তড়িঘড়ি খুলে দেখেন বাকশের ভেতর সোনাদানার চেয়েও দামি কিছু- এক নবজাতক মেয়েশিশু! তখনও যে কিনা দিব্যি বেঁচে আছে।

কৌতূহলের কারণে পুরস্কৃত হয়েছেন গুল্লু। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের যাবতীয় স্কিমের আওতায় নিয়ে আসা হবে তাকে। শিশুটির যাবতীয় ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকার নেবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে যে বাকশে শিশুটিকে পান গুল্লু মাঝি, সেটা সাধারণ নয়। দেখে বেশ দামিই মনে হয়। জড়ি মোড়ানো লাল কাপড়ের বিছানাও পাতা ছিল। ছিল দেবী দুর্গার ছবিও।  

আপাতত শিশুটি আছে স্থানীয় হাসপাতালে, পুলিশের তত্ত্বাবধানে। শিশুটিকে কে বা কারা এমন ‘যত্ন’ করে ভাসিয়ে দিয়েছেন, সেটা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।

 

সূত্র: এনডিটিভি