ভারতে বাংলাদেশি তরুণী নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার ১২

ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ মামলায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। বৃহস্পতিবার এক টুইটে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কমল পান্ত জানিয়েছেন, পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই দ্রুত তদন্ত কাজ শেষ করা গেছে। মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গত ২১ মে ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি এক ২২ বছরের তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। মানবপাচারকারী চক্রের শিকার হয়ে ভারতে যাওয়া ওই বাংলাদেশি তরুণীর নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা সম্প্রতি ভাইরাল হয়। ঘটনাটি প্রচার হওয়ার পর নির্যাতনের শিকার তরুণীর বাবা ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। এরই পরই অপরাধীদের গ্রেফতারে শুরু হয় অভিযান।

এ ঘটনায় বেঙ্গালুরুতেও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্ত ১২ জনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তদন্ত কাজও শেষ করার কথা জানায় ভারতীয় পুলিশ। বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার কমল পান্ত জানান, এই ঘটনার তদন্ত দলকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি'। ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তুলে আনায় দলটিকে বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৩ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

উলেখ্য, কুষ্টিয়ায় মোবাইল অ্যাপ টিকটক ব্যবহারকারীদের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সাতক্ষীরায়। সীমান্ত এলাকায় টিকটকের ভিডিও করার কথা বলে কৌশলে ভারতে নিয়ে প্রথমে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু শহরে। সেখানে বিভিন্ন হোটেল ও ম্যাসেজ পার্লারে নারী পাচার সিন্ডিকেটের সদস্যরা তাকে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করে। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রেমের অভিনয় ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে নিয়ে গিয়েছিল টিকটক হৃদয়। প্রায় আড়াই মাস পর ভারত থেকে পালিয়ে এসে পাচার হওয়ার বিস্তারিত উল্লেখ করে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন ওই তরুণী।