ভারত-চীনের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা নেই: জয়শঙ্কর

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চললেও ভারত ও চীনের মধ্যে কোনও পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা নেই বলে জানিয়েছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর প্রিমাকোভ ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্ল্ড ইকোনোমি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস-এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত ও চীনের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার কথা বিশ্বাস করি না। চীন পারমাণবিক শক্তি হয়ে ওঠে ১৯৬৪ সালে আর ভারত ১৯৯৮ সালে। চীনের কর্মসূচি আমাদের চেয়ে অনেক বেশি বহুমাত্রিকভাবে বিবর্তিত হয়েছে।’

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত বছর সীমান্ত উত্তেজনার পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বহু উদ্বেগ তৈরি হয়। সীমান্ত ইস্যুতে চীন চুক্তি পালন না করায় সম্পর্কের ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানান তিনি।

এস জয়শঙ্কর আরও বলেন, ‘আমি বলতে পারি বিগত ৪০ বছর ধরে চীনের সঙ্গে আমাদের খুবই স্থিতিশীল সম্পর্ক ছিলো। আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক সহযোগী হয়ে ওঠে চীন... কিন্তু গত এক বছরে এই সম্পর্ক নিয়ে বহু উদ্বেগ তৈরি হয়েছে কারণ সীমান্ত নিয়ে যেসব চুক্তি হয়েছে তা মানেনি চীন। প্রায় ৪৫ বছর পর সীমান্তে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। যেকোনও দেশের ক্ষেত্রেই প্রতিবেশির সঙ্গে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে সীমান্ত পরিস্থিতি। ফলে স্বাভাবিকভাবে সম্পর্কের ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার প্রভাব সম্পর্কেও পড়েছে।’

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে পূর্ব লাদাখ সীমান্তের লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তীব্র বিরোধে জড়ায় ভারত ও চীন। প্রাণঘাতী সহিংসতার পর ধারাবাহিকভাবে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেনা ও অস্ত্র সরিয়ে নিতে সম্মত হয় উভয় পক্ষ। বর্তমানে ওই এলাকায় উভয় পক্ষের ৪০-৬০ সেনা থাকলেও সেগুলো সরিয়ে নিতে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া