নভোজিৎ সিধুকে পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান করলেন সোনিয়া গান্ধী

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান সোনিয়া গান্ধী সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার নভোজিং সিং সিধুকে পাঞ্জাব প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যায় সিধুর সঙ্গে আরও চারজন কার্য নির্বাহী সভাপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, সাঙ্গাত সিং গিলিজিয়ান, সুখিন্দর সিং ডানি, পাওয়ান গোয়ৈল ও কুলজিৎ সিং নাগরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এখবর জানিয়েছে।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলেন নভোজিং সিধু। নতুন এই চারজন কার্যনির্বাহী সভাপতি নিয়োগ দেওয়া পাঞ্জাব ইউনিটের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানোর উদ্যোগ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

সিধুর সঙ্গে অমরিন্দর সিংয়ের বিবাদ বেশ পুরনো। বছর চারেক আগে বিজেপি থেকে কংগ্রেসে যোগ দেন সিধু। ২০১৭ নির্বাচনে তাকে অমরিন্দরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভোটপ্রচার করতেও দেখা যায়। আবার ভোটের পর সাবেক ক্রিকেটারকে মন্ত্রীও করেন ক্যাপ্টেন। কিন্তু সেই সুসম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কিছুদিন বাদেই সিধুকে মন্ত্রিসভায় একপ্রকার একঘরে করে দেন ক্যাপ্টেন। সিধুও অপমানিত হয়ে ২০১৯ সালে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। অমরিন্দরের সঙ্গে কাজ করতে না পারায় সিধুকে কেন্দ্রীয় স্তরে দায়িত্ব দেয় কংগ্রেস। তাকে তারকা প্রচারক হিসেবে লোকসভা ভোটে প্রচারও করানো হয়। কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগে আবার নতুন করে পাঞ্জাবের রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চাইছেন এই প্রভাবশালী নেতা। পাঞ্জাবের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে নিজের দলের মুখ্যমন্ত্রীকেই আক্রমণ শুরু করেন তিনি। প্রকাশ্যে চলে আসে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। একটা সময় মনে হচ্ছিল, দল ছেড়ে আম আদমি পার্টিতে যোগ দেবেন সিধু। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাকে দলে ধরে রাখতে বড়সড় পদ দিয়ে দিলো কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।

পাঞ্জাব কংগ্রেসের সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে সিধুর নাম উঠে আসতেই অমরিন্দর সমর্থকরা জানান, দলের হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নিবে তারা সেটিকে সমর্থন করবেন। তবে তারা দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য সিধুকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাবেক ক্রিকেটারের পক্ষ থেকে এমন কোনও দুঃখ প্রকাশ করা হয়নি।

রবিবার দিনভর পাঞ্জাব ও দিল্লিতে কংগ্রেস দলে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ছিল। রাজ্যে দলীয় সংকট মেটাতেই এই দৌড়ঝাঁপ। খানা, লুদিয়ানা ও জালান্দারে একাধিক রাজ্য নেতার সঙ্গে বৈঠক করে সিধু।

দিল্লিতে পাঞ্জাব থেকে নির্বাচিত সব এমপিরা প্রতাপ সিং বাজওয়ার বাড়িতে মিলিত হন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এমপিরা বলেছেন, তাদের আলোচনায় সিধুর প্রসঙ্গ ছিল না।