‘খাদে পড়ে গিয়েছিল ভারত, টেনে তুলেছেন মোদি’

করোনা মহামারির পর সংকটজনক পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করে ভারতকে সঠিক পথে নিয়ে পরিচালিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার দূরদৃষ্টির কোনও তুলনা হয় না। রবিবার থেকে শুরু হওয়া বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এভাবে মোদিকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিয়েছেন দলটির নেতারা।

এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে মহামারি পরিস্থিতিতে ৮০ লাখ মানুষের কাছে বিনামূল্যে খাবার পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, বিগত দিনে দলের যে সভাপতিরা ছিলেন সবাই মোদিকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে আমরা প্রথম পজিটিভ কেস পেয়েছিলাম। মোদি ল্যাব পরিদর্শন করেছেন। বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে ৩০ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এর পাশাপাশি ভারতীয় ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনকেও অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

জাতীয় কর্মসমিতিকে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বডি হিসেবে মনে করা হয়। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য সভাপতিরাও থাকেন। সেই মিটিংয়ে মোদির নামে কার্যত প্রশংসার বন্যা বয়ে যায়।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, যখন অতিমারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, চারদিকে তৈরি হয় খাবারের অভাব তখন খাবারের যোগানটা ঠিকঠাক রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টির জন্য আমরা বৃহত্তম খাদ্যবণ্টন প্রোগ্রামের সূচনা করেছিলাম। সেই কর্মসূচিতে প্রতি মাসে ৮০ কোটি মানুষকে রেশন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, যখন সিএএ পাস হয়েছিল, তখন মানুষ অনেক কথা বলেছিলেন। যখন আফগানিস্তান দখল করলো তালেবান তখনও মানুষ অনেক কথা বলেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টির জন্য সব সমস্যা থেকে আমরা বেরুতে পেরেছি। কৃষক আন্দোলন নিয়েও অনেকে অনেক কথা বলছেন। কিন্তু কৃষকদের জন্য বাজেট বরাদ্দ ২০১৪ সালে ছিল ২৩ হাজার কোটি, এখন সেটা হয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার কোটি। এটাও দেখতে হবে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।